ক’জন নারী মদ গেলে জানিনা কিন্তু আমি গিলি,
আজ সন্ধ্যায় ফের খেয়েছি মদ,
ভীষণ ভাবে তোমায় আজ ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে,
তোমার সাথে কাটানো সেই প্রথম বর্ষার সকাল
আজ বার বার মনে পড়ছে।
রক্ত চোখের আগুনে লাল খামে মোড়া মৃত্যুর চিঠি
ছেড়া ওড়নায় লুকিয়ে,
অনবরত শান্তনা দিয়ে চলছিলে নিজেকে নিজেই
স্নেহের কোমল বুকে জড়িয়ে।
আমি দেখেছি সভ্যতার পদচিহ্নে লাল রক্তের ছাপ,
দেখেছি কালো বিষাক্ত নিশ্বাস,
যুদ্ধের দামামায় হতবম্ভ করে দিয়ে গেছে আমাকে,
দেখেছি মরণ হাতে বসে আমাকে দিচ্ছ জীবনের আশ্বাস।
যুদ্ধ থেমে গেছে, আবার ফিরে এলো পৈশাচিক রাজত্ব,
এখন আগের মতই চলছে নাবালিকার রক্তক্ষরণ,
পথে পথে যখন তখন ঘন ঘন ধর্মঘটের ডাক,
জ্বালাও পোড়াও হরতাল
প্রতিদিন হচ্ছে মনুষ্যত্বের মরণ।
ক্ষুধার রঙে খচিত বাস্তবের ছবি,
অশ্লীলতা নিয়ে এখন সাহিত্য চর্চায় ব্যাস্ত কবি।
আমি এখন ওই নাস্তিক দলের একজন,
লোকে বলে কুড়িতে নারী বুড়ি
তবু আমি পঞ্চাশের পরের কথা মনে করে যৌবন দেখি,
কম্পিত এ বৃদ্ধা ঠোঁট একবার তোমার ছোঁয়া পেতে চায়,
সারাদিনের টুংটাং পাথর ভাঙা আর মড়মড় কুড়ানো পাখির পালকে
আমার মৃত্তিকা বুকে দাউ দাউ জ্বলে ,
মা হারানো,ভাই হারানো, বোন হারাবো প্রিয়তম পিতা হারানো
প্রাণের স্বজন হারানো অনল।
তবু কম্পিত বৃদ্ধ ঠোঁট একবার তোমার ছোঁয়া পেতে ব্যাকুল সে স্বদেশ।,
১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
সময় রাত ১২. ৫০