তোমার আশার প্রত্যয় নিয়ে
তোমার জন্য শুধু তোামারই জন্য
ত্রিশ লক্ষ শহীদ,দু’লক্ষ বীরাঙ্গনা ,সাতকোটি বাঙালি
প্রত্যাশার বুকচিরে বুনেছিলো স্বপ্নের বীজ।
স্বামী হারানো চাপা কান্না বুকে চেপে
                           শোকের মাতম নিয়ে
জননীর তাঁর অঙ্গে জড়িয়ে ছিলো সাদা শাড়ি।


নবোঢ়া মুছে ফেলেছিলো সিঁথির রক্তরাঙা সিদুঁর,
বোনের কমোল হাতের মেহদীর রঙও হয়েছিলো ফিকে,
সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটি, আতুর ঘরে হারিয়েছিলো পিতৃহারা।
                  কুমারী শরীর দিয়েছিলো পেতে
তার নগ্ন বিভষ্য শরীর মাড়িয়ে উঠবে ভোরের সোনালী সূর্য।


তুমি পুত্রহারা শোক, পিতার নির্বাক চোখ
তুমি মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধহত হাত, করুন আর্তনাদ
তুমি কৃষক-শ্রমিকের রক্তাক্ত ইতিহাস
তুমি পাক-সেনাদের
                বুলেটে ক্ষত দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে।
তুমি শ্যামলিমা শস্যের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
চঞ্চল বালকের নিথর দেহ।
উর্বশী হাতে কাঁচের  চুড়ির টুকরোর মত চূর্ণ বিচূর্ণ হওয়া।


অবশেষে এলে এক ঝিলিক স্নিগ্ধ হাসি ছড়িয়ে
তুমি এলে উত্তুরে বুড়ির ফিনফিনে চুল বেয়ে
এলে দ্বীপ্ত চেতনায় সোনালী ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণে  
                 এক সাগর রক্তে রাঙিয়ে নাঙ্গা পা-
এলে ষোলই ডিসেম্বর ভোরের-
সোনালী আলোয় বিজয়ের জয়ধ্বনি তুলে।
উড়ালে বাংলার মুক্তাকাশে লাল-সবুজ স্বাধীন পতাকা
তুমি আছো মুক্তদানায় শিশিরের পরতে পরতে
তুমি আছো  বাংলার হাজারো নদীর দূর্বার বয়ে চলা স্রোতে
                      তুমি আমার প্রিয় কবিতার উষ্ণতায়।


১৮ ডিসেম্বর ২০১৯