(শেখ রাসেলের জন্মদিনে শেখ রাসেলকে নিবেদিত এ কবিতা)


অবুজ শিশুর সবুজ চোখে স্বপ্ন আঁকার
লক্ষ কণ্ঠে বাজে আজি একটি কণ্ঠস্বর
যে শিশুটি তারা হয়ে আকাশ গায়ে জ্বলে
সে শিশুটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছেলে।


সবাই জানে সে শিশুটির শেখ রাসেল নাম
তার জন্য কাঁদে আজো আটষট্টি হাজার গ্রাম
ঘুমিয়ে ছিলো মায়ের বুকে পরম শান্তি ভরে
অবুঝ শিশুর প্রাণটা তোরা নিলি কেমন করে?


শেখ রাসেলের কণ্ঠ বাজে লক্ষ কণ্ঠস্বরে
বলো কে রুধিবে লক্ষকণ্ঠ এই বাংলার পরে?
আমরা শিশু কচিকাচা চির হরিতের মেলা
তার হাসি ফুটছে এখন, এখানে সারা বেলা।


কি দোষ ছিলো ছোট্ট সে রাসেল সোনামণীর
অবুজ শিশুর প্রাণটা নিয়ে সাজলে মহাবীর?
আঘাত তোরা এত জঘন্য ঘৃণ্য তোরা কাজে
মা বলে ডাকছে রাসেল আজও কানে বাজে।


অতি আদরের ধন ছোট্ট রাসেল জানি
ছিলো পিতা-মাতার দুই নয়নের মণি
শোন, আকাশে বাতাসে বাজছে সুমধুর
পারেনি রুধতে রাসেলকে কোনো মৃত্যুপুর।


কান পেতে শোনো রাসেলের কণ্ঠ হচ্ছে রণিত
লক্ষ-কোটি রাসেল কণ্ঠে আজ হচ্ছে শাণিত
লক্ষ হাতের মুষ্টি ওই ঝড় উঠেছে ঝড়
আঘাত-দালাল বলছি তোদের এই বাংলা ছাড়।


তোমাদের টুঁটি ছিড়বে আজ আমাদের কচিহাত
নির্ঘুম তাই যায় যে কেটে আমাদের প্রতিরাত
রাসেল খুনের বদলা নেবে আমাদের এ হাতে
নিশাচর হয়ে ছুটে ফিরি আমরা প্রতিটা রাতে।


মীরজাফরের বংশ এবার আমরা করবো ছাপ
ছোটছোট হাত রাঙবে খুনে নেই তবু পরিতাপ
রাসেলের মুখ ভুলব বলো আমরা কেমন করে?
আমরা আছি লক্ষ রাসেল এই বাংলার পরে।


২৯ জুলাই ২০১৯