নারীকে করো হেয়জ্ঞান নর,হেয় করো তার মান!
ভেবেছ কভু, নারী না এলে কোথা পেতে সম্মান?
নারী হচ্ছে আদ্যাশক্তি নারীই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রদীপ ,
নারীর গর্ভে জন্ম নিয়ে, হে নর তুমি কেন হও ক্লিব?
কেন এতো দম্ভ তোমার, বলো কিসে এতো অহংকার
নারী ছাড়া তোমার চলে না জীবন নারীই কণ্ঠমনিহার।


নারীতেই আছে সকল ব্যথা সইবার পরম শক্তি,
নারীতেই আছে মমতার বীজ সকল প্রেম  ভক্তি।
তোমাকে নারী করে প্রণাম, সকল সে নিবেদনে,
কেন ক্ষণে ক্ষণে ব্যথা দাও তুমি সেই নারী মনে?
তোমাকে  দিয়েছ জন্ম যেজন কষ্ট গঞ্জনা সয়ে,
পথ চেয়ে থাকে তোমার প্রীতির চৌরঙ্গী বিলাসী হয়ে।


সে মমতাময়ী জননী তোমার, তোমার প্রিয়তমা পত্নী,
ভালোবাসার সিক্ত পরশে নারী আত্মা নারী বন্ধন রত্নি।
তোমার সৃষ্টি তোমার কৃষ্টি শুধু প্রেমের ছোঁয়া,
নারী না এলে দেখতে চোখে সবকিছু ধোঁয়া ধোঁয়া।
নও তো গোঁয়ার, তবে কেন অকারণ হও অবুঝ?
নারী করে তোমারই আঙিনা শস্য শ্যামল সবুজ ।


নারী যোগায় শক্তি -সাহস, নারী মিটাতে আশা ,
নারীতেই  আছে সৃজন বীজের সুপ্ত ভালোবাসা।
ভাবো তো তুমিনারী না থাকলে  ফুটতো আলো?
আঁধার মাঝে লাগতো কি আর তোমার ভালো?
জ্বালিয়ে রেখেছ আলোক মশাল হৃদয় দ্বারে,
দহনে পুড়ে ছাই হতো মন, জ্বলত বিষে ভারে।


ভুলোনা পুরুষ নারীই প্রেম নারীই আশা জনম ধরে
নারী না থাকলে বিবেক তোমার হারাতো চৌরঙ্গী দূরে।
পেতে তুমি যশ-নাম, দাও তারে সম্মান ধূসর সরায়ে,
তোমাতে সে দেবে  জ্ঞান-ভক্তি, চেতনাদীপ্ত ভরায়ে।
বাজাও বাঁশরি  শ্যামকৃষ্ণ হয়ে তার কোমল হৃদয় কাননে,
সে করবে আরাধনা, আসবে রিনঝিন ছন্দ নূপুর নিক্কণে !