মানুষের মতো মানুষরা কখনো হারিয়ে যান না।
হারিয়ে যাননি ক্যাপ্টেন শহীদ শেখ কামালও
বেঁচে থাকলে-একাত্তরে রণাঙ্গনের এই যোদ্ধার
                            আজবয়স হতো তিয়াত্তর।
যে ছিলো মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং
ক্রীড়া সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।


যার পলকে অসংখ্য পদকের সাথে
সখ্য, ছিল আবাহনী ক্রিড়াচক্রের ,
যার পদচারনায় মুখরিত থাকত ক্রিয়াঙ্গন।
ফুটবল, ভলিবল , হকি আর ক্রিকেট
মিশে থাকতো থাকত যার রক্তে,
                          সাংস্কৃতিক অঙন ছিল যার প্রেম।


মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্বের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর থেকে
অত্যন্ত চৌকস এবং মেধাবী তরুণ, যুবক ও
পেশাজীবীদের মধ্য থেকে ৬১ জনকে
জেন্টলম্যান ক্যাডেট হিসেবে নির্বাচিত করে
ভারতের অফিসার ট্রেনিং উইংয়ে ন্যস্ত করে
বর্তমান উত্তরাখন্ড প্রদেশের দেরাদুনে
হিমালয় পর্বতের সন্নিকটে মূর্তি ক্যাম্পে প্রেরণ করে।
শেখ কামাল ছিলেন
সেই ৬১ জন সৌভাগ্যবান তরুণদের একজন।

যে ছিলো একজন তূখোড় স্বাপ্নিক মানুষ।
যাঁর স্বপ্নের ডানায় ভর দিয়েই ১৯৭৪ সালে
কলকাতার মানুষও দেখেছিলো-
                           আবাহনীর অসাধারণ ফুটবল নৈপুণ্য।
দেখেছিলো দেশবাসী অবাক হয়ে ছোট ছোট পাসের জাদু।
তিনি এতটাই ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন যে সহধর্মিণী হিসেবেও
বেছে নেন আরেক সুনামধন্য ক্রীড়াবিদকে।


হে প্রেমিক এ্যাথলেট, তোমার হাতের মেহেদীর রঙ শুকাতে
ঘাতকের নির্মম বুলেট তোমার বক্ষ বিদীর্ণ করে
বাংলাদেশের বুক ছিড়ে বের হওয়া রক্ত ফোয়ারায়
আজও রঞ্জিত হয় কৃষ্ণচুড়া
তোমার বিয়েতে কল্পিত সোনার মুকুট আজও হয়নি দেখা
বুলেটের ঝাজরায় তছনচ করা ৩২ নম্বর বাড়ির আঙিনায়।