মেয়েটিকে দেখিনাই আমি
ওর গল্প শুনেছি অনেক, গল্প শুনতে শুনতে
মনে হলো সে আমার অতি চেনা প্রাণের স্বজন।
টানা টানা মায়া হরিণ চোখ, দীঘল কালো চুল,
উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের বরণ,
কপালের কালো টিপ করেছে আরো অপরুপা রুপসী,
ওকে আমি ঈর্শা করবো নাকি ভালোবাসবো
ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা।


আমার বাংলাদেশের মেয়েরা এতো মনোহরিণী,
এতো রুপের এতো ল্যাবণ্যের ঢেউ সারা অঙ্গে
বিশ্ব-ধরণী উন্মাতাল হয় সরলার প্রেমে
হৃদয়ের অতল গহ্বর থেকে প্রেমনির্জাস নিংড়িয়ে দেয়
বুক ফেটে যায়, মনোহরিণী বলতে পারেনা মনের কথা
গার্জিয়ান নামের মানুষগুলো তাদের সিদ্ধান্তের বোঝা
নির্বিকার চাপিয়ে দেয় কাঁধে।
একবুক হাহাকার নিয়ে পা পাড়ায় অজানা গন্তব্যে
কেউ বুঝে না কেউ শুনেনা, কেউ দেখেনা নীরব কান্না।


দেবতার পায়ে পূজা দেয় পূজারী,
যাকে একদিন বসিয়েছিলো মনোমন্দীরে মনিকোঠায়,
চাইলে সেই দিন হৃক্ত দেতার বুকে মাথা রেখে
খুঁজতে পারতো পৃথিবীর অমঘ সুখ,
কিন্তু সেদিন মেয়েটি ছিলো বাকহীন ভূমিকায়
সব ছেড়েছুড়ে ফের ফিরে আসেছে
প্রাণের দেবতার পায় দিতে অর্ঘ, কৃষ্ণ কি নেবে রাধার সে অর্ঘ!
যতই ফিরে আসুখ যুগের রাই, তবু এখন সে অন্যের
তার বিরহে নিদারুণ ভার বয়ে
পথ ভোলা পথিক একে একে কাটিয়ে দিয়েছে ঊনিশ বছর,
কৃষ্ণ আজ বুঝেও বুঝেনা রাইয়ের মনের ব্যকুল ব্যথা
আজ সব আছে তবু কেউ নেই কিছু নেই
কৃষ্ণের মনরঞ্জণে সে কখনও সাজে সাদা শাড়িতে অপসরী
কখনও লাল পরী হয়,
যুগের কৃষ্ণ বিষ দহনে জ্বলে পুড়ে ছাই হবে
তবু পণ যুগের রাইকে ............ করবে না গ্রহন।


.১২ ডিসেম্বর ২০১৭
সময় সকাল ৯.৫৫