একসময় ভাবতাম—
এই আমিই সূর্য, আমিই সকাল,
আমার নিঃশ্বাসেই পৃথিবী পায় চেনা চেহারার আলো-ছায়ার মালা।
আমার চোখেই জ্বলত রঙ,
আমার স্পর্শে জাগত ঢেউ—
ভেবেছিলাম, আমাকেই ঘিরে বাঁচে এই মহাকাল।

কিন্তু জীবন, ও জীবন!
তুই এক অন্য গল্প লিখলি পাতায় পাতায়—
যেখানে আমি এক বিন্দু, এক অচেনা ছায়া,
যার হারিয়ে যাওয়া দেখে
এই ধরিত্রী কাঁদে না, গেয়ে ওঠে না কোনো মায়াময় গাথা।

আজ মনে হয়,
আমার না থাকাটাই হয়তো বেশি স্বাভাবিক,
আমার হেঁটে যাওয়া পথেও জমে না ধুলো,
আমার অভাব বোঝে না সময়ের চাকা।

আমি কি ছিলাম?
কে জানে!
একটা নাম? এক ফাঁকা শব্দ?
একটা ছবি যা কেউ তোলেনি?
নাকি ছিলাম একটুখানি ব্যথা—
যেটা বুকে রাখলেও,
কেউ বলে না— "তুমি ছিলে আমার প্রিয়তা"?

তবুও, এই ক্ষীণ অস্তিত্বে আমি
ভেবেছি, ভালোবেসেছি, কখনো কখনো কান্না চাপা দিয়েছি,
সেই তো বেঁচে থাকা—
সেই তো নিজেকে হারিয়ে আবার খুঁজে পাওয়া।