তোমাকে বলা হয়নি,
তোমার অনুপস্থিতি আমার ভিতর গেঁথে গেছে—
জন্মদাগের মতো,
যেটা লুকানো যায়, ভুলে যাওয়া যায় না।
তুমি যেদিন চলে গেলে
বৃষ্টি নামে নি,
শুধু ঘরের ভেতর জানলা খোলা ছিল;
বাতাসে দুলছিল ডান হতে বামে।
আর আমার চোখে জমে উঠেছিল,
একটা চিরকালীন মেঘে ঢাকা বিকেল।
তুমি কি জানো?
তোমার ব্যবহৃত চশমার দাগ এখনো আয়নার কোণে,
চায়ের কাপ দুটোই আছে—
একটাতে জমাট ধুলোর স্থর,
অন্যটায় গালফোলা অভিমান।
আমি চিৎকার করিনি,
কারণ ভালোবাসা কখনো গলা ফাটিয়ে বাঁচে না,
ওটা নিঃশ্বাসে পুড়ে যায়—
শব্দহীন, ব্যথার মতো।
তুমি যদি জানতে,
কত রাত আমি তোমার নাম ধরে ঘুমাতে চাইনি
কত প্রার্থনায়—
তোমার মুখটা মুছে দিতে বলেছি ঈশ্বরকে।
তবুও প্রতিবার,
স্বপ্নে তোমার সেই হেসে থাকা মুখটা ফিরে আসে;
চোখের জল থেমে যায় আবার।
এখনও ভালোবাসি
কবিতা লিখে নয়—
তোমার জন্য প্রতিদিন একটু একটু করে ভেঙে গিয়ে।
তুমি আর ফিরে এসো না,
বহুকাল হলো—
আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি,
বেদনার পিরামিড জেগে ওঠে;
বিষফোঁড়ার মত।
প্রতিবার যখন "ভালো আছি" বলি।
ফেরার চেষ্টা করো না কখনও—
খুবই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে;
চার দেয়ালের অন্ধকারে।