কাশ্মীরের এক কোণে দাঁড়িয়ে শিশু,
হাতে ধরা পুতুল, বিষ্ময়ে জেগেছে প্রশ্ন—
“আমার ঘর কেনো পুড়ে ছাই”?
মুহুর্তে সন্তান হারা মায়ের আর্তনাদ,
কেঁপে উঠে মহা শ্মশান!
বুলেট পেরিয়ে নিয়ে গেছে সে প্রাণ—
একটা খেলনা পড়ে আছে উঠোনে।

স্কুল ভেঙেছে গাজায়,
বইয়ের ভাঁজে খুঁজছে আশ্রয়,
ইসরাইল থেকে আসা আকাশের আগুনে
মানুষগুলো পুড়ে গেছে—
চারিদিক মানুষ পোড়া গন্ধ;
শকুনের দল ঘুরছে আকাশে,
নিচে আসার সাহস নেই তার।

অপরাধে দম বন্ধ অবস্থা—
রাস্তায় নেমে এসেছে প্রতিবাদ,
যা রক্তে মিশে গেছে বৃষ্টির মতো।
আকাশে বিমানের শব্দ;
ঝরছে বাক্স বাক্স বোম—
ক্ষিদার গরজে দেয় দৌড়;
এ বুঝি আহার কিছু ত্রাণ।
আবার—
বিকট শব্দ ঝরে যায় কিছু প্রাণ।

ইউক্রেনের বৃদ্ধার শান্ত দৃষ্টি,
পালানোর শক্তিটুকু নেই;
নিজের শহর, নিজের বাড়ি,
সাজানো বইয়ের সেলফ।
হাইপারসনিক মিসাইলে, উড়ে গেছে—
লাইব্রেরির জানালা,
সেখানে আর সূর্য দেখা যায়না।

এই পৃথিবীর মানচিত্রে আজ রঙ নেই,
সবুজ নেই, নীল নেই, কেবল লাল
—রক্তের লাল,
যেখানে মানুষ শুধু সংখ্যা,
আর হাহাকার ভেসে বেড়ায়—
পৃষ্ঠা আর মোবাইলের পর্দায়।