বোধিসত্ত্বের মুখশ্রী ক্লান্ত কাচের ভেতর দিয়ে
বারবার আমার চেতনার সাগরে ঝড় তুলছে।
ওর স্মৃতির তাকে সযত্নে রাখা রূপালী বইগুলো
ওকে উপহার দিই আরব সাগরে মণিমুক্তো ঘেঁটে।
ভালোবাসার সেই আশ্চর্য সৌরভ ওর ধমনীর
অলিগলিতে প্রবাহিত হয়েছে আমার আদেশে।
গাঙ্গেয় বাতাসের স্বপ্নের মতো শীতল আদরে
কবিতার চাদরমুড়ি দিয়ে ওকে ঘুমোতে শেখাই আমিই।
আমার হাতের উষ্ণতা কতবার ওর দশটা-পাঁচটার
ঘর্মাক্ত চোখের জল পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছে।
সেই বোধিসত্ত্ব...আমার বোধিসত্ত্ব আজ কোনো এক
অচেনা দ্বীপের অজানা কারাগারের অন্ধকারে বন্দী।
ওর চেতনার শরশয্যা নির্মাণে হয়তো অজান্তেই
শিখণ্ডীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আমার মন।
তবু বোধি...আমার ভালোবাসার এই সীমাহীন সাম্রাজ্যে
একমাত্র অধীশ্বর তুমি...বোধি, তুমিই আমার 'প্রেমিক'।
আমি জানি আমার অস্তিত্বের প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে
ইচ্ছামৃত্যুর বরপ্রাপ্ত তোমার ঐ চেতনায়...ঐ 'বোধ' এ।