বহুতল থেকে নেমে আসি-
সারা সকাল জুড়ে চলে পরিপাটি বেশ-বাস
প্রসাধন আয়োজন,
তকমাধারী বহুজাতিক পণ্যের সুগন্ধে সাজিয়ে তুলি নিজেকে
চার পাশে চকিত অনুসন্ধানী  চোখ বুলাই-
তাকে করিনি আহবান ,কখনো অবজ্ঞাও করিনি।
আমি শ্রেণীকে অতিক্রম করতে শিখিনি
সে সমীহ-মাখা মুখে তিনচাকা নিয়ে আমার জন্যে অপেক্ষা করে
কেন ? কোনো চুক্তিও তো ছিলো না!
এমন নিরাপদ ব্যবস্থায় নিশ্চিন্ত বোধ করি।
এক অপারথিব ভালোলাগায় ভরে উঠে এই মন
নিজেকে খুব সুখী-সুখী, তৃপ্ত মানুষ মনে হয়।
একটি প্রশ্ন এসে আমাকে অবিরাম খোচায়
মানুষের এতো বিশ্বাস আর ভালোবাসার উপযুক্ত কি এই আমি?
তার ঘরমাক্ত শরীর থেকে ভেসে আসে বোটকা এক গন্ধ
বমনেচ্ছা পাকিয়ে উঠে হঠাত -
নিজেকে ভোলাতে চাই নানাভাবে, ব্যর্থ  হই;
বার বার আত্ম্ববিস্মৃত হতে চাই
দুপাশের কৃষ্ণচূড়া-সোনারুর রংবাহারে !
ভালোমানুষী হয়ে ওঠে প্রশ্নাণ্বিত
নিজেকে প্রশ্ন করি, তার এই বিশ্বাস-সম্পরকের কি নাম দেই?
হয়তো ঘুট্ঘুটে অন্ধকার ঘরে কেটেছে তার রাত-
সংগের স্ংগী ছিল নোনা ঘাম।
প্রসাধন সে কখনও চোখে দেখেনি!
জন্মদায়ের বিপন্ন মূহুরত গুলো
সে পার করে অন্নসংস্থানের অন্তহীন দুশ্চিন্তায়  -
নিজেকে তখন পরাজিত-ভন্ড মনে হয় ?!