বাবার বদলীর চাকরী
ঘাটে ঘাটে নোঙ্গর ফেলার পালা-
কতো মুখ-মুখরতা-
বেশ কদিন কয়েকটা মুখ মনে করার চেষ্টা করছি;
তারও মধ্যে থেকে বিশেষ একটা মুখ
মুখটা যদিওবা  ঝাপসা মনে পড়ছে-
হাজার চেষ্টায় নামটা যেন বিস্মৃতির অন্ধকারে ডুব দিয়ে আছে;
তখনও সে শ্যামল বরন,
খেলা পাগল আমার মতোই,
চুলের যত্ন না বোঝা কৈশোরের দরজায় হা মুখ দাড়ানো!
ধুলোর তুলি পোশাক জুড়ে।
সময় আমায় কৃপা করেনি-
ডানায় তুলে নিতেও ভুলেনি।
তার মাঝে সময়কে তুড়ি মারা,চোখ রাঙ্গানো-
সময়কে উপেক্ষা করে নিজেকে সাজিয়ে নেওয়া;
অন্য দশজন ছাপোষার হাহাকারকে  ডিটারজেন্টে ধুয়ে ফেলা-
তাও তো শিখতে হয়, হয় কি না?
এত্তো কিছুর মাঝে আপ্রাণ চেষ্টা-
তোমার নামটা স্মৃতির অন্ধকার থেকে তুলে আনার
পৃথিবীটা নাকি ছোট,দেশটা নাকি এই এতটুকু!
কোথাও কি তোমার সাথে এই নীরব প্রেমের দেখা মেলে না?
নাকি আমিও তেমন করে তোমাকে খুঁজিনি কোনদিন!