শিশু হেসে বলে মা কোথায় স্বর্গ ,কোথায় নরক
মা বলে তোর বোঝার মতো হয় নি বয়স।
কিন্তু শিশু রয়ে যায় কৌতূহলে
আবার বলে মা কোথায় স্বর্গ,কোথায় নরক
মা দারুণ বিরক্ত ,চিন্তিত
এভাবে পেরিয়ে যায় অনেক দিন,মাস,বছর।
সেই সব প্রশ্ন শিশু আর করে না
কিন্তু মা মনে মনে ভাবে আর চিন্তা করে
ছোখের সামনের পৃথিবীটা যেন নরক,
আর ঐ দূর চন্দ্রদেশ যেন স্বর্গ।
অবশেষে মা পারলো না তাকে বোঝাতে
এবং একদিন ঐ শিশু পোঁছে গেল পঁচিশে।
সে বুঝতে পারলো সমাজ,জাতি,দেশকাল,
আর সেই শৈশবের প্রশ্ন নেই আর স্মৃতির পাতায়।
হটাৎ একটি বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ শোনা গেল
চারিদিকে আর্তনাদ, যন্ত্রনা,রক্তমাখা ছিন্নভিন্ন দেহ,
সেখানেই ছিল মা আর ঐ যুবক দাঁড়িয়ে
একটা আতঙ্কের মেঘ চারদিকে ছেয়ে গেল,
সব নিস্তব্ধ, নিঝুম, নীরব মধ্যরাতের মতো।
এরপর ঐ যুবক মাকে বলল এই পৃথিবী
নেই আর প্রকৃত পৃথিবী,
হয়ে গেছে হিংস্র ,রক্তময় নতুন নরক।
এবার পেয়েছিস সেই প্রশ্নের উত্তর
তা শুনে ঐ যুবক অবাক,স্তম্ভিত।