হাসতে হাসতে মৃত্যুর সংজ্ঞা লিখে দাও কিভাবে প্রিয়তম ?
এত কোমল স্পর্শ দিয়েও ঝলসে দাও ঝাও বন !
ছোট্ট এক শিশি হতে সমুদ্রের অতলে ঢেলে দাও গড়ল..!


বুড়ো বটগাছের নীচে পোতা আছে শালিখের কঙ্কাল,
এক সাচ্ছল এপিটাফ..
তুমি জানোনা বীজ এবং বৃক্ষের এর ধারাবাহিকতা?
জানোনা কত লক্ষ প্রেমিক চুমু খেতে খেতে মরে গেছে অবেলায়?


হাসতে হলে ঘর দোর বন্ধ করে হাসো আগুন দিয়ে চালায়,
দুধের শিশু কে বুক থেকে সরিয়ে পলিথিনে মুড়ে দিও না হয়..
হো হো করে হাসতে থেকো পেয়ালা সেজে আরাম কেদারায়..
হাসি আর কান্নার ফারাক খুঁজে নিও প্রত্যেক চুমুকে প্রিয়তম,
তারপর না হয় কেঁদো !
কাঁদতে হলে পাখির মত কেঁদো,
শোক না ব্যাথা,না গান বুঝবে না কেউ..
মায়ের চুলে পেঁচিয়ে কেটেছিল শালিকের পা,
ভুট্টোয় দেওয়া বিষে মরে ছিল তিন জোড়া বুলবুলি ছানা!
কই কান্না !
কাদঁতে হলে মায়ের মত কাঁদো,
না মানুষের মা না,শেয়ালের মা,
লোকে শুনবে হুক্কা-হুয়া,
টুকুর মা মরলে কেঁদেছিল টুকু আর ওর ভাই,
হাইওয়ের ধারে ট্রাক গেল শেয়াল মাড়িয়ে,কেউ তো কাঁদে নাই..
কই কান্না!
কাদঁতে হলে কুকুরের মত কাঁদো,
লোকে বলবে "আহারে সোনাটা,এই একটা বিস্কুট দাওতো ক্ষিদে পেয়েছে কুকুর টা,"
হলুদ ট্যাক্সিতে পিষে যাবে প্রত্যেক বছর ক্ষুদে তুল তুলে শিশু টা।


কাঁদতে হলে পৃথিবীর মত কাঁদো প্রিয়তম,
আমাকে ছেড়ে কোথায় যাবে বলো ?
আমার বুকের ওপরের কাঁঠাল গাছে পাখি হয়ে বসে পৃথিবীর মত চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে কাঁদতে থাকো..
কাদঁতে কাদঁতে শিখে নাও জীবনের সংজ্ঞা..
একে একে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাক চোখ,মুখ,বুক সুখ পছন্দের প্রতিটা..
দেওয়ালের আসবাবে ঝোলানো হরিণের সিংটা।