কাছে দূরে পড়ছে চোখে
জ্বলছে বাতি এই ভূ-লোকে
রাত্রি বলে আঁধার কি আর আছে!
আঁধার ভেদী জ্বলছে আলো
ওই তো দূরে কাছে।
মাথার পরে আস্ত আকাশ
একখানা চাঁদ দেয় পাহারা
ভাবছ কেন একা
হাজার তারা মিটমিটিয়ে
হাসছে তোমার পানে চেয়ে
মরবে কেন? মরলে কি আর
পাবে তাদের দেখা!
একটা খোলা ছাদ
হয়তো তুমি একা
একটু দূরে দেখো
দরজা খোলা জানলা খোলা
রঙীন বাতি আলোর ভেলা
কোথাও একটা সবুজ বাতি
কোথাও একটা নীল।
চার দেয়ালের অন্দরে
ওই যে দূরে ঢেউয়ের মাঝে
নীল সাগরের বন্দরে
কোন জাহাজের মাস্তুলেতে
লাল বাতিটা ভীষণ কড়া
কেবলি ঝিলমিল।
ছাদের পরে কার্ণিশেতে
ফুলগুলোকে দেখো ছুঁয়ে
রাতের বুকে শান্ত কেমন
নীরব ঘুমে আছে নুয়ে।
ভোরের আলোয় ফুলগুলো সব
আবার কেমন উঠবে হেসে
মরলে পরে তুমি কি আর
কাল তারিখে দেখবে শেষে?
মরবে কেন! মরবে কেন!
এমনতরো দৃশ্য ফেলে!
বুকের পরে বাঁশের মাচা
শুইয়ে দেবে মাটির তলে
তখন কি আর দেখতে পাবে
রঙীন বাতির যাদুর শহর
দু' একটা নয় কষ্ট প্রহর
খানিক সয়ে কাটিয়ে দিলে।
ওই যে দেখো এক জানালায়
মায়ের বুকে একটা শিশু
কাঁটছে সাঁতার দুধ নহরে
যত্নে লুকায় মুখ।
তাকিয়ে দেখো তাকিয়ে দেখো
তবেই তুমি ভুলতে পারো
ভুলতে পারো এক নিমেষে
ঝুলে পড়ার দুঃখ।