অপরাজিতার ঘুম ভাঙ্গে, গাঢ় লজ্জায় আড়ষ্ট
গুটিয়ে রাখে দেহ। অন্ধকারেও তেড়ে আসে পষ্ট
অশুভ এক কালোছায়া।চেনা তবু অচেনা হাত
বিষাক্ত বিছুটীর মতো ঢালে বিষের অভিসম্পাত
সন্তর্পনে সারা দেহে হাঁটে, ইতিউতি ঘ্রাণ খোঁজে
জঘন্য এক দানবীয় ছোঁয়া শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
মাতাল বিছুটী পশম মেলে বের করে দুটি শুঁড়
স্বাদ নেয় ঘুরে এপাশ ওপাশ ঘ্রাণ যতো সুমধুর
মাতাল গন্ধে সারা দেহ ভরা বিছুটি ঘুরায় মুখ
নীল বিষে ভরে পাথর চাপা অপরাজিতার বুক
বিছুটীর শুরু ভ্রমণ যাত্রা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে
আচমকা তার সাধ জাগে মনে নাইবে তীর্থে গিয়ে
সামনে রয়েছে পূণ্য ধাম এক ঐ দূরে দেখা যায়
এই যাত্রার আদিম যে সুখ আর কোথা খুঁজে পায়!
খানিক দূরে সমতল মাঠ নেই উঁচুনিচু খাদ
বিছুটী আকুল ক্রমশঃ এগোয় নেই কোন অবসাদ
নীচে দেখা যায় ব্যাস কুন্ড বিছুটী উন্মাতাল
কতোদিন পর এলো বুঝি আজ শুদ্ধ হবার কাল
সমতট বেয়ে নীচে নেমে ঘুরে কুন্ডের চারপাশ
তৃষ্ণা কাতর বিছুটী খোঁজে কুন্ডের নির্যাস
দুধের ক্ষীরের অমৃত স্বাদ ঢেউ উপচানো জলে
সেই দুধ জলে নাইবে বলে বিছুটী বসন খোলে
শুচি শুদ্ধ হবে বলে আজ জন্মের পাপ ধুয়ে
আড়মোড়া ভাঙ্গে অপরাজিতা বিছুটী কাঁপছে ভয়ে
কে যেন বলছে, অপরাজিতা,আজ সেই মহাকাল
ছিড়েখুঁড়ে ফেলো পায়ের বেড়ি অশুভ অন্তর্জাল।