হাওড়া থেকে ঘুরেই দেখি
পুরুইল্যাতে
লেবাপ সাঁহেব বাঁধ হয়ে আছে
হামদের গাঁ টাতে ।
হুরহুর করে তখনও
জল পড়ছে ,
আর ঘর-থর তো ডুবেই গেছে
খালি গাছের পাতা গুলা লড়ছে ।
হামি তো ভাকাই গেলি লটপদা দেখে
গাঁয়ের যত লোক কাঁদছে
জল-কাদা মাখে ।
আর ডাকছে শুধু পবনদেবকে,
বলছে- বাঁচাহে পবন হামদেরকে ।
দুটা পাঁঠা দিব
তাও নাইতো - দুটা ভেঁড়াই দিব
যদি না মানিস -  তবে,
চারটা কাঁড়াই দিব ।
ঝড়, জল আর বর্ষা দেখে—
মাথাটা ঘুরাই গেলো ।
আর হুড়ালদাদু তার লাতিটাকে
হাও ঝোপটায় খুঁজে পালো ।
ধীরে সুস্থিরে জল, ঝড় সব থামল
লোকগুলা সব ডুমরিটা থেকে
হুড়মুড়াই নামল ।
আর তখনি মারল টেরেনটা
কষাটে বেরেক
রেললাইনে, নকি ফাঁটল আছে
ইঞ্চি দেড়েক ।
মাথাটা ঠুকাই হলি
ঘুমটা ছাড়ল ।
চারদিকে ভালে দেখি—
কোথায় জল, কোথায় ঝড় !
রবি বলল, কিরে ঘুমটা ভাঙল ।
হামি বললি, হেরে রবি
পুরুইল্যাতে বন্যা হলো যে ।
রবি বলল-,
হেঁরে বাপ রূখা মাটির পুরুইল্যায়
সূর্যটা আজ কোনদিকে ঢলেছে ।