চারিদিকে আজ নিঝুম রাত,
কালো চাদরে ঢাকা,
আমি বসে জানালার ধারে,
বাতাসে উড়ছে খোলা বইয়ের পাতা।
কেন জানি আজ খুবই একা আমি,
ভাবছি আলোর কথা,
যে আলো আমি দেখি মানবের চোখে,
তাতে বড়ই অভাব সততা।


প্রকৃত আলো আমি কোথা পাব আজ,
সেই চিন্তায় মরি,আমি দিবাগত রাত।
হঠাৎ দেখি রাস্তার ধারে,
আমার পোষা প্রিয় "নড়ি"।
কুকুর হয়েও বিড়ালছানা কে
আদর যত্নে করছে সেবা,
অপ্রকাশিত " নড়ি'র" ক্ষোভ।
বিড়ালছানা অবাকপানে চেয়ে রই নড়ির চোখে,ভাবছে


নড়ির মতো অকৃত্রিম প্রেম নাইকো মানব মনে।
অবাক আমি নড়ির আচরণে,
ধিক্কার মানবেরে,কেন সৃষ্টি করছি ধ্বংস,
হিংসায় অকারণে।
যেখানে নড়ি এক ইতর প্রাণি,
সেবিছে অকৃত্রিম ভালোবাসা,
সেখানে মানব কোন কারণে গাও,
মনুষ্যত্ব ধ্বংসের ইতিকথা।


আলোর প্রত্যাশা তুমি বন্ধ করো মানব,
যদি হতে না পারো সৎ,
হিংসায় তুমি জর্জরিত আজ,
কেবল গাও বিদ্বেষের কলরব।
তবে শোনো মানব তুমি,
সত্যি কথা বলছি আমি,
কাটবেই এই অন্ধকার,
যদি সঁপ নিজেরে মানবের তরে,


মিথ্যারে করো তিরস্কার।
সেদিন আর নয় বেশি দূরে,
যদি হও তুমি প্রত্যয়ী,
অন্ধকার ঘুছিয়ে আসবে আলো,
মানব তুমিই হবে বিজয়ী।
জানি আমি মানব কেটে যাবে গ্লানি,
জানি কেটে যাবে কালো রাত,
মনুষ্যত্ব সত্তা আজ জাগবে আবার,
সকলের কাঁধে রেখে হাত।