এক যে আছেন রাজামশাই সিংহাসনের পরে
সোনাদানা মুক্ত মানিক রাখেন তিনি ঘরে।
রোজ বাতেলা ছাড়েন তিনি,চব্য চোষ্য খান
প্রজারা সব না খেয়ে রয়, দেখতে নাহি পান।
জুড়িগাড়ি চড়ে তিনি দেশ বিদেশে ঘোরেন
নিজেই নিজের ঢাক পিটিয়ে বাহাদুরি করেন।
হরেক রকম ফন্দিফিকির তার মাথাতে থাকে
মন্ত্রীরা সব পা জড়িয়ে হুজুর বলে ডাকে।
মস্ত যে তার বুকের পাটা লোকে নাকি বলে
জ্ঞানীগুণী যতেক আছে, তার কথাতেই চলে।
প্রজার দুঃখ-দুর্দশা তে তার কী বয়ে যায়?
সোনার সিঁদুক ভর্তি হলে আর কিছু না চায়।
ভুলেও যদি দুখের কথা বলতে কেহ যায়
পেয়াদা সব ধরে তাকে বেদম যে পেটায়।
লাঠির জোরে শান্তি তিনি বহাল যে করেন
প্রজার বুকে পা দিয়ে রোজ গদিতে চড়েন।
হীরের মুকুট পরে রাজা মহা সুখে থাকেন
পান থেকে চুন খসলে পরেই হুড়ুম দুড়ুম ডাকেন।
ঝড় ঝঞ্ঝা বন্যা তে রোজ দেশের অশ্রু ঝরে
রাজা তখন আরাম করেন,সোনার শীতল ঘরে।
যুবক যতেক আছে তারা কর্ম নাহি পায়
তাতে মোদের রাজাবাবুর কি বা এসে যায়?
সবাই বলে বিরাট রাজা,আর কি বলো চাই?
সবাই মিলে এসে চলো হরে কীর্তন গাই।।