মধ্যরাতে চাঁদ টা যখন আকাশ মাঝে হাসে।
কি অপরুপ আলোর মাঝে আমার এ দেশ ভাসে।
কী অপরুপ রুপের জাদু আমার এ দেশ জুড়ে।
যখন আবার বৃষ্টি নামে মেঘলা আকাশ ফুরে।
বৃষ্টির প্রতি ফোটায় যেন স্বর্গ শীতল সুখ।
আমার দেশের রুপ দেখিলে ভরে যায় যে বুক।
সকাল বেলা পাখির ডাকে ভাঙ্গে যখন ঘুম।
কী অপরুপ রুপের জাদু আমায় দেয় চুম।
দোয়েল, কোয়েল,  ঘুঘু ডাকে
কোকিল ডাকে পাতার ফাকে।
এদের ডাকে আমার ও ভাই জুরিয়ে যায় প্রান।
এই শব্দ শোনার জন্য ‍দিয়ে দিতে পারি জান।
আমার দেশের শোনার মাটি সবার দেশের চাইতে খাটি।
সবকিছুতেই অপরুপ রুপ আছে যত খুটিনাটি।
সকল দেশের চাইতে ওভাই আমার এদেশ পরিপাটি।
জসীমউদ্দীন এ রুপ দেখে হয়েছিল ভাই কবি।
জয়নুল আবেদিন এর একেছে কত ছবি।
কৃষ্ণচুড়ার ফুলের রংএ কত অপরুপ দৃশ্য।
অবাকদৃষ্টে সেদিকে দেখ তাকিয়ে আছে বিশ্ব।
এমন অপরুপ দেশতো তোমরা কোথাও পাবেনা খুজে।
দোয়েলের ঐ মুহু ডাক তুমি শুনে দেখো চোখ বুজে।
বাতাশের কালে হাত মেলিয়া দাড়াও নদীপারে
পাখির কেমন সুখ বুঝবে, যেতে ইচ্ছে হবে না ঘরে।
কোকিল যখন ডাকে তখন মিলিয়ে দেখো সুর।
এমন মিষ্টি হয় না জানি কোনো কোনো খেজুড়ের গুড়।
হাসের ঐ প্যাকপ্যাক যদি শোনো তুমি কান পেতে।
সত্যি বলছি উঠবে তুমি আনন্দেতে মেতে।
এইখানে ঐ ঘাসের বুকে সোনা ঝরে প্রতি রাতে।
হেটে দেখো ঐ ঘাসের বুকে, অপার আনন্দ তাতে।
সকাল বেলা শীতল জলে জেলে ধরে ভাই মাছ
ঝরের কালে হেলে পড়ে ঐ কতনা সুপুড়ি গাছ।
এমন অপরুপ দৃশ্য তুমি পাবে কোথায় গেলে?
এমন দৃশ্য একমাত্র আমার দেশেই মেলে।
এই দেশের নদীপারে বসে লিখেছে রবি ঠাকুর
এই দেশের রুপের জাদুতে জেলের গলায় সুর।
আমিতো তাই মৃত্যুর পরে আসবো আবার ফিরে।
বুলবুলিদের সাথে আমি ঘুরবো বাংলা নীড়ে।