ঘুম পাড়ানি আজ ঘুমায় না
এই আষাঢ়ের রাতে,
কালো পর্দায় ঢেকেছে রুপালী চন্দ্রিমা।
অন্ধকার ছায়া ঢাকা শূন্য অনাড়ম্বর
কক্ষজুরে নিঃসঙ্গ বিছানায় যখন একা,
অব্যুঢ় জীবনের চলোর্মি দিক বিহীন ছুটে চলে।
অস্থির ভাবনায় আকাশ কাঁদে।
আষাঢ়ে জল গড়ায় উষ্ণ মাটিয়ার তপ্ত দেহে।
কুশনে জমেছে বেশ আমার নিরব রাতের অবারিত ক্রন্দন।
নিস্যন্দর ফোটা ফোটা বাদল রাগে,
শোহিনীর মত মন ভুলায়
আমি জেগে থাকি ঐ মূর্ছনা শুনে।
আষাঢ়ে বাসর গড়ি, নবোঢ়া আমি বর্ষার সাথে
কোলাহল বিচ্ছিন্ন নিস্তব্দতা-শুনশান কক্ষে।
আমি মিশে যাই স্নাত বারি জলে,
সারারাত উপভোগ করি ছন ছন জল খেলা দেহ মন একযোগে।
মাটির সাথে মিশে সব কাদা হয়ে গেছে,
একাকার জলে ভিজে চায় মন মাটির মত মিশে যাই
বৃষ্টিজলে পাশা খেলে।
প্রতিটি মূর্ছনা ছন্দের মাঝে
আমার জন্ম হয় নতুন করে।
ভালোবাসা-প্রেম নিয়ে খেলি চুমুক ভরে।
গভীর আষাঢ়ে জলসায়
আমার নিমন্ত্রণ রাখেনি চাঁদ,
জলনৃত্যের নৃত্য উপভোগ করি
আমি নিশিথীনি আর নিশিরাজ।
শিঞ্চিত জলকেলি,নিশিরাজ আধারে সিক্ত যৌবন বর্ষায়
আমি কুমুদ নিশিথীনি উপভোগ করি
তমঃস্রির সিক্ত আষাঢ়ের বাসরে।