গাঁয়েতে এয়েছে এক কেরামতি সাহেব কোম্পানি
কত তার ঢ্যাঁড়াক্যাড়া-মানুষ না পিপীলিকা, যা রে ছুটে যা
যা রে যা দ্যাখ গা খেলা হুরীর নাচন আর
                           ভাঁড়ের কেরদানি
এখেনে এখন শুধু মুখোমুখি বসে রবো আমি আর হাসন্ রাজা।


আলাভোলা হাওয়া ঘোরে, তিলফুলে বসেছে ভোমর
উদলা নদীটি আজ বড়ই ছেনালি
বিষয় বুঝলে দাদা, ভুলাতে এয়েছে ও যে দুলায়ে কোমর
যা বেটী হারামজাদী, ফাঁকা মাঠে দিব তোর মুখে চুনকালি!


কও তো হাসন্ রাজা, কি বৃত্তান্তে বানাইলে হে মনোহর বাড়ি?
শিয়রে শমন, তুমি ছয় ঘরে বসাইলে জানালা-
চৌখুপ্পি বাগানে এত বাঞ্ছাকল্পতরু কেয়ারি
দুনিয়া আন্ধার তবু তোমার নিবাসে কত পিদ্দিমের মালা!


জানুতে ঠেকায়ে থুতনি হাসন্ চিন্তায় বসে
                         মুখে তার মিটিমিটি হাসি
কড়ি কড়ি চক্ষু দুটি ঘুরায়ে ঘুরায়ে দেখে জমিন আশমান
ফিসফিসায়ে কয়, বড় আমোদে আছি রে ভাই, ছয়টি ঘরেতে ঐ যে
                                          ছয় দাসদাসী
শমন আসিলে বলে, তিলেক দাড়াও, আগে দেখে লই
                            পঙ্খের নকশায় পইড়লো কিনা শেষ টান।