ঐ বন্যার মেয়ে আসিতেছে ধেয়ে
চারিদিক করিয়া তল
পল্লী মায়ের শিবচর গাঁয়ের
নিদারুন অশ্রুর আঁখিজল৷
খরচালা ঘর ডুবে গেছে তার
উঠোনের হেশেলের পাড়
গোহালের গরু পানিতে ভাসে,
কোথাও জাগা নেই রাখিবার
রিনি, মিনি দু'টি বোন কাঁদে হায়
মরণ বুঝি এই বন্যায়,
বাতাসের বেগে, ফণা তুলে ঢেউ,
গাঁয়ের ছোট্ট বাড়িটি ভাসে,
কখনো আবার ঐ দেখা যায়,
বিষধর সাপ সাঁতরিয়ে আসে৷
ভাঙ্গা চালের পড়ে সারাদিন
বৃষ্টি ঝরে সেথা অবিরত,
বাঁশের চাংগায় খেতা-বালিশ
যাহা ছিল ভিজিয়েছে যত৷
হাঁসের খোয়াড় ডুবিয়া গিয়াছে
ওরা যে, কোথায় হারিয়ে গেল?
দীঘল রজনী কেটে গেলো হায়
আর নাহি ফিরে এলো৷
ক্ষুধার জ্বালায় পেটের আগুন
সদা দাউ দাউ করে জ্বলে
অসহায় দেহখানি ভেসে যাবে
মোদের সলিল মৃত্যু হলে৷