লুকোনো ক্লান্ত হেরে যাওয়া এই মন
খুঁজেছে তাকে দ্বারে দ্বারে, মানুষের ভিড়ে,
Concrete -এর জঙ্গলে, নাম না জানা গ্রামে,
মাঝরাতের নির্জনতায়, এমনকি রাজনিতীর কানামাছিতেও।


এই কাব্য তাকে খুঁজে পাওয়ার উত্তরে নয়
বরং তার পূর্বে তোমার প্রতি আকর্ষণ বর্ণনায়।
যে সনাতন দানা বাঁধছিল তিলে তিলে
প্রেমের আদি বন্য ঢেউ এনেছিল আমাদের মনে।


সলতে ফুরিয়ে এসেছিল আমার সময়ের।
তুমি এসে বাতি জ্বেলে দিলে, চারিদিক
আলোয় আলোয় করে উচ্চারণ ছাড়াই স্পষ্ট করলে
যে বিদ্যুতের যোগান তোমার কাছে অফুরন্ত।


বাঁধ ভাঙতে শুরু করল, গলতে লাগল ego রা।
মুছে দিলাম আমরা মনের সীমানাগুলো
বেশ কিছু গণ্ডি পেরোলাম হাত ধরে সফল হয়ে।
সেই সময়েরই পালকি করে হলে আমার অহংকার।


ঠোঁটে তোমার মশালের আগুন, চোখে
সাগরের নীল, তোমার বুকে মহুয়ার গন্ধ
নাভিতে তোমার পদ্মফুল – এই কামনা আবেদনে
যেন শুধু আমারই একচেটিয়া অধিকার।


সে আতর যেন আমি সর্বদা গায়ে মেখে রাখি।
তোমার সাথে আমার মিলনের প্রতি মুহূর্তেই
যেন প্রকৃতি উপহারে বসন্ত ঋতু ছড়ায় –
শুধু তোমার স্পর্শে যে বিদ্যুৎ সেই ক্ষেত্রটুকু জুড়ে।


খেয়ালে যত্নে যেন তুমি মায়েরই আরেক রূপ;
প্রতি পদক্ষেপে তোমার লক্ষ্মী, তোমার
প্রতিটা পাতায় পাতায় সরস্বতী; চিহ্ন রেখে যায়
তোমার স্পর্ধায়, তোমার বিনয়ে, আমার অহংকারে।


সময় নিজের গতি বজায় রাখল, দুপুর পড়ে
বিকেল হল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা।
তোমার ভিতরে চাপা আক্ষেপ বাতাশ পেল।
আমি খুঁজতে শুরু করলাম সর্পগন্ধা।


না পেলাম না, দাড়ি আমার সাদায় ধরতে শুরু করল,
গালের চমক ক্রমশ মসৃণতায় গ্রাস করল।
ততক্ষণে তুমি ক্ষোভের শিখর আরোহণ করেছো।
ভালোবাসাকে শিকল বন্দী করে লুকিয়ে দিয়েছো চাবি।


এই তুমুল আয়োজনে যে তোমার দোষ
নিছকই সামান্য সেটা উপলব্ধি করতে করতে
তোমার সেই লুকোনো চাবি চেলে গেল আমি হতে
বহু বহু দূরে, তোমার আকাঙ্খাদের কাছে।


আসলে এ কাব্য হতে পারত আমার ব্যার্থতার,
যদি না তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা গর্ব করে
সেদিন আমায় না বলত – তোমার ভালোবাসা
অর্জন করে কেউ কীভাবে ব্যার্থ হয়ে থাকতে পারে!