আমি খুঁজে পাই তোমাকে
আমার মনের অরণ্যে,
এখানের চিরবসন্ত
বাইরের গ্রীষ্ম শীতের
হাওয়াকে উপেক্ষা করে
প্রতি মুহূর্তে।


নানা পাখির গান
গুনগুন করে
বাগানের রকমারি ফুলের গন্ধে
ম ম করে আমার মন।


আমি যে প্রেমিক,
আমি ভালোবাসতে ভালোবাসি
তোমার হাতে হাত রেখে
আমি লিখি আমার কবিতা
তুমি আমার
কপালকুণ্ডলা, বনলতা
তুমিই নন্দিনী, চৌধুরানী, চারুলতা।
তোমার চোখের কাজলের
সাথে, তোমার অনর্গল
আনন্দে, আর্তনাদে ভরা
নয়ন জলে তৈরী হয়
আমার কালি।


হে নারী, আমার ধমনী জুড়ে
বয়ে চলেছো তুমি,
মা মেয়ে মায়াময় মন
দেখেছে তোমাকে
দুঃখ সুখের মাঝে
নানারূপে নানাসাজে,
যুগযুগান্ত ধরে।


তোমার বাইরের রূপ বুঝি ক্লান্ত,
উপেক্ষা, অপমানে উদ্ভ্রান্ত
ঋতুর ঝড় ঝাপটায় ঝরে
পড়েছে তোমার পাতা
কিন্তু আমার মনের খাতায়,
এক অপূর্ব ঘন বন
তোমার অধরা অদেখা রূপ
না শোনা গল্প আমি লিখে চলেছি…
কখনো কাশফুল
কখনো বাঁশি বা রামধনু দিয়ে।


তোমার স্নিগ্ধ স্থিতি,
তোমার বিচিত্র পরিস্থিতি,
কালের এইপারে ঐপারে
সকলসন্ধ্যা ভোরে
স্রোতের মতো লিখে চলেছে
প্রেমিকার বসবাস,
বনবাসের কথা
চিরবসন্ত মনের ভিতরে
তোমাকেই ভর করে।