এমন একদিন  


এমন একদিন আসবেই আসবে
যেদিন সব সৈনিক
ধ্বংসের অস্ত্র বিসর্জন দিয়ে
সৃষ্টির অস্ত্র হাতে তুলে নেবে।
এমন একদিন আসবেই আসবে।


তারা শুধু একটি ক্ষুদ্র দেশের
নয়, সমস্ত পৃথিবীর রক্ষা করবে
তাদের সুঠাম দেহের ও
তীক্ষ্ণ কৌশল শিক্ষার বলে।


ভূমিকম্প, বন্যা, ঝড়, মহামারী,
শিশুপাচার, ধর্ষণ, দাবানল
আরও সব ভয়াবহ দুর্যোগের
বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে তারা।


তারা তাদেরই প্রতিচ্ছবিকে প্রহার
করে আর নরখাদক হবে না,
একথা তারা তাদের নিজেদের
দেশের নেতাদের জানিয়ে দেবে,
দেবেই দেবে।


হতবাক সবাই। এ কি করে সম্ভব
হবে! যুদ্ধ হবেনা? এত অস্ত্রসস্ত্র,
মাঠে মারা যাবে?  
কেন? ওই সব ভয়ংকর অস্ত্রশস্ত্র
থাকবে বন্দি যাদুঘরে থরে থরে
‘ডু নট টাচ’ লেখা কাঁচের খাঁচায়।  
আগামী প্রজন্ম এসে দেখবে আর
জানবে আমরা কী ভুল করেছি!
নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করেছি।  



ওই দেখ,
অনেক অনেক বছর পর
কি বলছে ঐ শিশুটি তার মাকে!
“মা, কি করে এটা সম্ভব হত!
শিক্ষিত মানুষেরা এ সব তৈরী
করে কেনাবেচা করত, নিজেরা
নিজেদের মারবে বলে? কি ভাবে
কোন কায়দায় খুন করবে বলে?!”
“হ্যাঁ বাবা, ঐ ঘরে চল আরো
আশ্চর্য হবে,”!

মা নিয়ে যাচ্ছে দেখ তার শিশুকে
পাশের ঘরে, সন্তান দেখে হতবাক!
খেলনা বন্ধুকে , আর নানারকম খেলনা
মারণাস্ত্রে  ভর্তি সেই ঘর!  সে জানলো
যে এক সময় নাকি এই খেলনার
সংখ্যা আসল অস্ত্রের থেকে শতগুন
বেশি ছিল!
এ সব মনগড়া কথা গল্পের গরু
তোমার!
না না না এক সময় তোমরা
বাসেট্র্যামে সিগারেট খেতে না?
খেতাম! তাতে কি?
তখন ভেবেছিলে একটা দিন
আসবে যখন আর পাবলিক
প্লেস-এ ধূমপান করতে পারবে
না?


হা! হা! হা! কিসের সাথে কিসের
তুলনা করছো হে মূর্খ কবি?
আমরা যুগযুগ ধরে যুদ্ধ শিখে,
শিখিয়ে এসেছি, আমাদের প্রতিটি  
ধর্মেই ত কমবেশি যুদ্ধের অনুমতি
আছে, তবে?
হ্যাঁ ! হ্যাঁ ! হ্যাঁ ! কিন্তু সে যুদ্ধ
এই যুদ্ধ নয় তাই যদি হয় তো
দেখ কোনো না কোনো একদিন
মানুষ ধর্মগ্রন্থের প্রকৃত অর্থ বুঝে
সম্পূর্ণ ভাবে অস্ত্র বিসর্জন দেবে।  
দেবেই দেবে। এমন একদিন হবে।  
হবেই হবে।
হা! হা! হা! ওই 'We shall overcome?'
কখনও 'We have overcome?' হবেনা!
হ্যাঁ! হ্যাঁ! হ্যাঁ! হবেই হবে, এমন একদিন
আসলো বলে,
এমন একদিন আসবেই আসবে!