জন্ম রহস্য
—————
     সুপ্রিয়া চৌধুরী
       —————
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
মঙ্গলগীতে শঙ্খধ্বনিতে
স্বাগত করা হবে জন্মের শুভক্ষণ।
অবিলম্বেই জন্ম হবে সেই নবজাতকের
যে  বিশ্ববাসীকে শোনাবে প্রেমের বাণী
কিংবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে হয়ে উঠবে প্রতিবাদমুখর।
গাইবে শুধু সে মানবতারই জয়গান।


কিন্তু কে এই নবজাতক ?
কে এই মহান সৃষ্টির জন্মদাতা ?
কে পিতা ? কে ই বা মাতা ?
সেটাই রহস্য !
তার এমন রহস্যময় আবির্ভাবে
বিশ্ববাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত ।


সুস্বাগতম্ হে নবজাতক !!  
উলুধ্বনিতেই তোমার জন্মের বার্তা পৌছে গেলো দিকেদিকে।
আশীর্বাদ করতে এগিয়ে এলেন যিনি,-
তিনি পিতা নন, মাতা ও নন,
তিনি শুধুই স্রষ্টা এই নবজাতকের,
-দ্রষ্টা এই নবজন্মের,- নবঅঙ্কুরের।


তাঁর  হাতেই অঙ্কুর থেকে পূর্ণতা পেয়ে সে
আকার নেবে মহীরুহের।
সেই মহীরুহ শাখাপ্রশাখা ছড়াবে বিশ্বব্যাপী।
শব্দের ঝংকারে  সুরের মূর্ছনায়  ভাবনার আবেগে
সে করবে বিশ্বজয় !
তবে কি তার পরিচয় ?


তার পরিচয়, অস্তিত্ব নিহিত আছে তারই স্রষ্টা  
সেই মহাকবির অতল মনের গভীরে।
কবিমনের ভাবমুগ্ধতার স্ফুরণ সর্বজনীন
হয়ে প্রকাশ পেলো নতুন মহাকাব্যে !


জয় হোক্ তাঁর নবজাত সৃষ্টি অমর মহাকাব্যের !
জয় হোক্ সেই মহাকবির
যাঁর সৃষ্টির প্রতিটি শব্দের অনুরণনে
বাঁধা আছে বিশ্ববাসীর  হৃদয়ের স্পন্দন।
অবিস্মরণীয় হোক্ মহাকাব্যের এই জন্মমুহুর্ত !
নিঃসন্দেহে,- এ এক মহারহস্য !
—————————————


(যে কোনো মহাকাব্যের জন্মমুহুর্ত আমার কাছে এক রহস্যই বটে। সেটাই প্রেক্ষাপট)