কবিতার গন্তব্য কোথায় ?
————————
        সুপ্রিয়া চৌধুরী
          —————
ওগো বন্ধু ! আজ শোনো, বলি তোমায়
আমার এ কবিতার গন্তব্য কোথায় !
কবিতা আমার চিরদিনের দুঃখ সুখের সাথী
কেউ কখনো বুঝুক বা না বুঝুক কবিতাই সমব্যথী।
তুমি শোননি বন্ধু ?
চারপাশে আজ কাঁদছে মানুষ  !
শোননি তাদের বুকফাটা হাহাকার আর্তনাদ !
শোনোনি কখনো কান পেতে কবিতায় ?
ওই গুমরানো ধ্বনি বয়ান করবেই
কবিতার গন্তব্য কোথায়  !


একবিংশ শতাব্দীর নতুন খেয়াল
পৃথিবীর আনাচে কানাচে
কোথাও না কোথাও যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা !
হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবীতে কি দিয়েছো শিশুদের,
শুধুই তো অবহেলা !
কি করে আশায় বাঁধি পোড়া মন  
কি করেই ভাবি এই শিশুরা গড়বে সুস্থ সমাজ
দেখবে নতুন প্রাণ ?
হায় ! মানুষের এই গড়া সমাজে মানুষেরই নেই স্থান !


যেখানেই দেখো, দেখবে শুধু মানুষই নিঃসহায় !
জলের চেয়েও  সস্তা রক্ত,- লিখে নাও কবিতায়-
কবিতা !  তুমি নেবে না তো প্রতিশোধ  
শুধু সোচ্চার হয়ে করে যাবে প্রতিবাদ !
কালো অক্ষরে শুধুই  লিখবে দুঃখ কাহিনী,  
কলুষিত জীবনসংবাদ !
এত নিরপরাধ মানুষের কান্নায় ও কাঁদেনা
হে পৃথিবী তোমার প্রাণ ?
রক্তস্নাত হয়ে গেছো তুমি, কি করে জাগাবে
আশার আলো, কি করে করবে ত্রাণ ?
গন্তব্য হারিয়ে কবিতা আমার
চাইছে যে প্রতিকার !!


কোথায় হে বন্ধু শান্তির দূত  !
সহানুভূতির বাড়িয়ে দুহাত করো আজ অঙ্গীকার-
বেশী কিছু নয় -
শুধু চাই এক সুস্থ সমাজ
থাকবেনা সেথায় দুঃখ কষ্ট আর্তনাদ হাহাকার
শিশুদের কলতানে আকাশ মুখর
ভোরের আলোয় ভৈরব রাগ-
দিনশেষে ?
আহা ! হোক্ না ইমনকল্যানের মধুর সুরঝংকার ।
নয় নয় আর হেরে যাওয়া নয়
নব বসন্ত আর দূরে নেই
পেছনে ফেলে আসা পথ ভুলে
কবিতা আমার, কবিতা তোমার,
ছুটবে এবার নতুন দিনে আলোর গতিতে
গন্তব্যের পথে কোনো নতুন ঠিকানায়।
———————————————-