নারীর অস্তিত্ব
——————
        সুপ্রিয়া চৌধুরী
         ——————
সমালোচনার পাত্রী সে নয়-
নয় সে নগন্যা-
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে থেকেও
সে নারী, অসামান্যা।


যথাযথ মূল্য পায়নি নারী
তোমার সমাজতন্ত্রে,
তারে জোর করে বেঁধেছো,
নানা  বিধি -নিষেধ, মন্ত্রে ।


যে নারী আজ অবহেলিতা,
কুণ্ঠিতা নীরবে-
হে পুরুষ !  তুমিও জন্ম নিয়েছো-
কোনো নারীর ই গর্ভে !


তারই যত্নে লালিত পালিত
পেয়েছো আশীর্বাদ-
প্রতিবাদ করোনি, সোচ্চার হয়ে,
শুনে তার আর্তনাদ।


সমতুল্য যদি নয় সে তোমার,-
তবে কিসের এত আক্রোষ ?
কেন তার দিকে লোলুপ দৃষ্টি,
কেন অহেতুক ক্ষোভ ?


সুরক্ষিত কেন নয় সে আজ ও,
পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে ?
তার নিরাপত্তা তুমি ই ভেঙেছো
বড় কষ্ট, এ সত্য মানতে ।


হে পুরুষ ! তুমি শিক্ষা পাওনি,
সুশিক্ষা তোমার প্রয়োজন,-
কাপুরুষ তুমি, প্রমাণ করেছো-
এ লড়াই চালিয়ে অনুক্ষণ।


রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে -
সমাজ গঠন করে-
কিসের শিক্ষা ? মৌলিক জ্ঞান ?
যাক্ সে ধূলার পরে।


নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ,-
কে দেয় ? -এই অধিকার ?
এত অবিচার নির্যাতনে ও-
ক্ষমা পেয়েছো বারংবার।


সময় এসেছে, হে পুরুষ প্রধান !
পরিবর্তন আনো মনে-
তবেই নারী মুক্তি পাবে-
অগাধ বিচরণে।


মহাশক্তির উৎস নারী-
স্নেহে প্রেমে পরিপূর্ণা-
বুক ফাটলে ও মুখ ফোটেনা,
তাই সে অনন্যা।


উজাড় করে তার পৃথিবী-
দেয় সে দুহাত ভরে,
বিনিময়ে চায় না কিছুই -
একটু ভালবাসার তরে।
—————————————


ঘরের বাইরে আমি, আমার মেয়ে, বোন, দিদি,মা, আমরা কেউ আজ ও সুরক্ষিত নই কেন ? যাদের জন্য নই , তাদের উদ্দেশ্যেই আমার এই কবিতা। যারা সৎ পুরুষ, মেয়েদের  প্রতি শ্রদ্ধাশীল, -কিংবা যে মহিলারা অসৎ, অশালীন, তারা আমার এই কবিতার অংশ নন।