হৃদপিন্ডের অস্ত্রোপচার
——————————
                 সুপ্রিয়া চৌধুরী
                  ——————
কান্নায় ককিয়ে উঠছে হৃদপিন্ড
বলছে :- “আমায় বের করো ! মুক্তি দাও আমায় !
আমি আর পারছি না”।


—সকাল থেকেই চলছে চীৎকার।
কি করে বেরোবে সে ? পথ নেই বেরোবার।
তাই হবে অস্ত্রোপচার।
অভিযোগ :—
এই মানুষ নামে দু পায়ে চলা জন্তুর দেহে
দমবন্ধ  হয়ে আসছে তার।
মানব দেহে নেই প্রয়োজন হৃদপিন্ডের।
এছাড়াই চলতে সক্ষম এরা।
হৃদপিন্ডের কোনো  মূল্যই নেই এদের কাছে ।


অগত্যা চলছে অস্ত্রোপচার।
হৃদপিন্ড তাই মুক্তির আনন্দে অধীর।
মানব সমাজের এই অতি অপ্রয়োজনীয়
হৃদপিন্ড কে ফেলে দেওয়া হবে ডাস্টবিনে।


হঠাৎ অদূরে  শোনা গেলো একটি মেয়ের আর্তনাদ !
চেঁচিয়ে বলছে সে :-
“হৃদপিন্ড বের করে নিলে এই হৃদয়হীন মানুষটিকে
আমি ভালোবাসবো কি করে ?
আমার যে কেউ নেই !


ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া মুক্ত হৃদপিন্ড
মৃদু স্বরে ডাকলো মেয়েটিকে।
বললে,-
“আমি তো রয়েছি। ভয় কেন গো মেয়ে ?
আমার কাছে এসো, আমায় ভালোবেসো।
এ হৃদয়ে নেই কোনো মলিনতা, হীনতা,
দ্বেষ, হিংসা-
সে শুধুই জানে ভালবাসা”।


মেয়েটি বললে—“তবে হোক্ অস্ত্রোপচার !
আমার হৃদপিন্ড ও বের করে নেওয়া হোক্ -
ফেলে দাও,—ওই একই ডাস্টবিনে !
ওখানেই হবে
হিংসা দ্বেষ বর্বরতা হীন শুদ্ধহৃদয়ের মিলন,—
আমাদের প্রেমের সূত্রপাত” !
———————————————————————-


ককানো‍‍‍‍=কাতরানো