শুভমস্তু
     ————
           সুপ্রিয়া চৌধুরী
          ———————


পুরুষতন্ত্রের জাল ছিঁড়ে ফেলে নারীর মুখে
উচ্চারিত আজ বৈদিক মন্ত্রধ্বনি !
বিবাহের চিরাচরিত প্রথা কে জানিয়ে বিদায়,
যারা এগিয়ে এলেন কান্ডারী হয়ে,-
তাদের গাও জয়ধ্বনি ।


হিন্দু বিবাহে কন্যা সম্প্রদান ? তাই ত হয়েছে
এত যুগ ধরে, এর হয়নি কোনো প্রতিবাদ !
পুরুষ শাষিত সমাজে কেন নারীই শুধু বস্তু সামগ্রী,
কি ছিল তার অপরাধ ?


আর নয় এই কুসংস্কার,
এবার নারী কন্ঠের মন্ত্রোচ্চারণে
ঋকবেদ্  হলো সহজবোধ্য,
সঙ্গীতময় বিবাহ মঞ্চ, পরিবর্তিত বিবাহ বিধি,-
প্রত্যাক্ষিত হলো নানান্  কু-প্রথা ও আচার।


আধুনিক সমাজে পড়ে যায় সাড়া,-
এ পরিবর্তন সাগ্রহে গ্রহণ করেন
সমাজের প্রগতিশীলেরা,
যারা বিশ্বাস করেন সমমর্যাদায়,
নেই ভেদাভেদ নারীপুরুষের,-
শুধু বিশ্বাস বিবাহের পবিত্রতায় ।


বহুযুগ পরে বিবাহ পেলো সঠিক অর্থ,
যেখানে কেউ নয় কোনো পণ্য সামগ্রী
কেউ নয় কারো প্রভু,—
জীবন যাত্রায় বৈষম্য নয়, হাতে হাত ধরে চলা  
শ্রদ্ধা ভালবাসা অটুট থাকবে,- এটাই লক্ষ্য শুধু।


এ পরিবর্তন সহজ ছিল না সমাজ যেখানে প্রতিকুল,—
এ অসাধ্য সাধন তুমিই করেছো !
নারী শক্তি ! কুর্ণিশ তোমায় !
ভেঙেছো সমাজের ভ্রান্তি ও ভুল !


বিধি- নিষেধের লৌহকপাট ছিন্ন করে
পৌরহিত্যে সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত -
হে নারী !
তুমি আজ বাধা হীন তুমি আজ মুক্ত—
একটাই কাজ এগিয়ে চলা, মঙ্গল হোক
জনগণের, মঙ্গল হোক্- তোমার, আমার,-
সুস্বাগতম্ — শুভমস্তু ।
———————————


(সমাজের চিরাচরিত বাঁধা এবং ভেদাভেদ ভেঙে মহিলারাও যে সমান দক্ষতায় পৌরহিত্য করতে পারেন, দীর্ঘ এক দশক ধরে নানা জায়গায় পুরোহিতের দায়িত্ব সামলে তার প্রমাণ দিয়েছেন
তাঁরা । ২০০৯ সাল থেকে প্রথম বিয়ের পৌরোহিত্য দিয়েই তাঁদের যাত্রা শুরু । সেই মহিলাদের সম্মানে আমার এই ছোট্ট প্রয়াস। )