আর নয় মনকে আস্থা দেবার গান,
     এখনও কি লুকিয়েই বাঁচাবে প্রান?
                আমি নিত্যে দেখি,
     যে নদী আপন বেগে পাগলপারা,
               সেই কেনো আজ
          সন্ত্রাসের কোপে দিশেহারা?
               তুমি দেখেছো কি ,
       রক্তের বন্যার পিচ্ছিল রাস্তা?
শুধুই গান গেয়ে মোরা মনকে দিলাম আস্থা।
                দেখো শিশুটিরে,
      যার নিদ্রাভঙ্গে সকালে সূর্য হাসে,
             এখন সে নির্বোধ বলে
       এবার সূর্যোদয় হটাব দেশে।
            যারা মাটিকে আঁকড়ে
             মাটিতে মেশাল দেহ,
           এ অবুজ মন কি তাদের
             কখনও দিয়েছে স্নেহ।
   যে মেয়েটি এই অন্ধকারেও খুজেছিল
              বেঁচে থাকার ক্ষমতা,
           সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিল
             এ অপৈশাচিক মমতা।
       আমি ভেবে হাসি,যারে ভালোবাসি,
                     সেই কাঁদালো শেষে।
        সন্ত্রাসের ভীড়ে, ভিটে-মাটি চিরে,
                    আবেগ উঠল দেশে।
     আমি দেখেছি হিংসায় সাজানো
    অসহায় মায়ের নতুন রঙিন দেশ,
        দেখেছি আমি পড়ে থাকতে
    অবলা নারীর রক্তে ভেজা কেশ।
         তুমি কি নীরব,নাকি ক্লান্ত,
            এখনও হাল ধরোনি?
   নাকি এই অন্ধকারের দুর্ভেদ্যতাকে
               ক্ষমা করোনি?
আমিও সেই দুঃখের দিন ভুলতে শিখেছি,
গভীর যন্ত্রনাকে মনের অন্ধকারে পিষেছি,
         অমানসিক অতিথেয়তায়
         হিংসার আন্দোলনে মিশেছি।
আমিও সন্ত্রাসকে মানবিক ভাবেই লিখেছি।