সৃষ্টির বড় দম্ভ হল,
                         জগৎ নাকি তার দান।
              ঘুমন্ত বিনাশের ঘোর কেটেছে,
                        সৃষ্টি ভেঙে খান খান।
              কুলির মস্তকে সৃষ্টির বোঝা,
                        মেথরের পাঁজরে রাগ।
              হিংসার আদরে সৃষ্টি মরল,
                       বিনাশ পেল তার ভাগ।
             উড়ানপুলে রক্ত নিয়েছে,
                       রাজা দাড়ালো পাশে।
             আবার জগৎ সৃষ্টি করবে,
               তবে তার বছর আঠারো মাসে।
             দেশ প্রেমও রক্ত চাইলো,
                       মায়ের কোল খালি।
           গোলাপের বাগানে শোক এসেছে,
                       কঠিন চিন্তায় মালি।
            শিক্ষার বিনাশ অহংকারে,
                      শান্তির বিনাশ শোকে।
           তোমার বিনাশ রাত পোহালেই,
                  বিলাসের আকাঙ্খা যদি ঢোকে।
           স্বর্গ লোভে ধর্ম বিনাশ,
                      গীতায় আছে লেখা।
            অভাব ঘরে স্বভাব বিনাশ,
                       তোমার থেকেই শেখা।
         যে ক্ষুদ্র বৃক্ষের কন্টক পায়ে বিধেছে,
               তার শির কেটে ফেলো,
                এই তোমাদের রীতি?
            জল দানে বড় কর তারে,
                 রইবে না চলার ভীতি।
            যে সৈন্য আধপেটা খেয়ে
                  রক্ষা করে নবাব।
            তার ঘরেতেই কনকনে শীত,
                  ছেড়া কাঁথার অভাব।
             বিনাশের তরে বিধির বিচার
                       এমনই হল ভূল।
             বর্ণের জন্য পাগলাগারদ,
                        ধর্মের জন্য ফুল।
          গুণীর তপস্যার বেদ শিক্ষা
                    আজ পুথির জোয়ারে ভাসে।
          সৃষ্টি লজ্জায় মুখ লুকালো,
                    বিনাশ মুচকি হাসে।