কি বিশৃঙ্খল তুমি,                      
           আবার নরকে স্বাধীনতা এনে দিলে?                  
নাকি রক্ত মাখা আইনের
                      সংগ্রাম চুষে নিলে?
       নিষ্ঠুর দিল বিভিষীকার বাণী,
               অদৃষ্ট দিল আঘাত,
           লজ্জা দিল বিপ্লবী যৌবন,
            পরাধীনতা দিল ভাত।
          প্রকৃতি দিল উন্মাদের লাস,
       আর তুমি দিলে আমার সর্বনাশ।
       ভেজা রক্তকে বিপ্লবী বলে যারা
               উষার সূর্যকে দেখেনি,
                সম্রাটের রাজগৃহে তারা
                 দাসত্ব শৃঙ্খল শেখেনি।
    আমি না দেখা রক্তের ইতিহাস পড়েছি,
              বাস্তবকে দৃষ্টিকটু ভেবেছি,
           সুখের নিদ্রাকে স্বাধীনতা ভেবে
             কুলক্ষণে শেষ করেছি লড়াই।
                     তুমি সৈরাচারী ,
       নাকি তোমায় পিষাচে করলো বড়াই।
               যে জাতির সদর দরজায়
                    শহিদের নাম লেখা,
          সে জাতির মস্তকের বিভ্রান্ত শিরার
               গুণগান গাইবে না কেউ,
          নদী,বন্যা বা উন্মাদ সমুদ্রের ঢেউ।
               যে রক্ত শক্ত হতে জানে,
             সে রক্তও মরতে ভয় পাই।
               যে সমাজ অদৃষ্টের দান,
         তার পতনোত্তর অদৃষ্টেরই উপায়।
        আমি শুনেছি বাতাসে ভেষে থাকা
                   অপবিত্রতার বাণি,
           আমি দেখেছি খেতে না পাওয়া
                              কঙ্কালের গ্লানি।
                      বিধাতা বলে ,
           মানুষ জন্মালেই স্বাধীনতা পাই।
            কিন্তু আমি এখনো পেলাম না
                 বেঁচে থাকার উপায়।
             পেটের দায়ে বাপ মরেছে,
                 জীভের দায়ে বোন,
              বোনের দায়ে মা মরেছে,
                  হিংসার দায়ে মন।
         প্রাচীনের দায়ে ইতিহাস কাঁদছে,
                বণিকের চোখ লাল।
          শিষ্ঠাচার খুজতে গিয়ে ফকির
                শূন্যে ফেললো জাল।
                 জাল তুলতে এ কি?
          বিধাতা আজ তুমি গর্তে?
        দোহায় দিন সহায় পাবো মর্তে।
          সহায় নয়।বন্দি করো যৌবন,
               আলগা হয়েছে পাতাল।
               যুধিষ্টিরের প্রেম খুজতে
                উন্মাদে ফেলো জাল।
          জাল পড়লো,শোক উঠল,
              দগ্ধতা আরো বাড়বে।
          আর দগ্ধতাকে আঁকড়ে ধরে
               বিশ্বাষঘাতক লড়বে।
           আমি সেই বিশ্বাষঘাতকের আঃশ্বাস,
                   বিধাতার আবিশ্বাস,
              আর ফকিরের শেষ নিশ্বাস।
         আমি ঘাতকের আঘাতযন্ত্রের বাণী,
         আমি আকাশ আর আশ্চর্যের ধরনী।
              যে সমাজ ধর্মে দিয়েছে বাণী
                   মর্মে দিয়েছে জোর,
          সে স্বাধীনতার সকাল বড়ই ঋনী,
              বিরহে কেটেছে তার ভোর।
        তুমি কি শান্ত,নাকি অশান্তির অগ্রদূত?
             বিরহ বা এক বিরম্বনা অদ্ভূত।
                   তবে কেনো তুমি,
     শিশুর পৃথিবী একঘোরে করে নিলে?
      আমিমাংসার সুরা নিঃস্বকে দিলে?
     বিপ্লবী রক্তকে অষাঢ় করেছিলে?
              এ কেমন তুমি,
       আবার বিশৃঙ্খল স্বাধীনতা এনে দিলে।