বিয়েবাড়ি বাজছে সানাই আলোর ছড়াছড়ি
অতিথিরা আসছে হেঁটে কেউবা চরে গাড়ি।


প্রবেশপথে অ্যাপায়ানে দাঁড়িয়ে আছেন কর্তা
সুস্বাগতম, ধন্য আমি, দিচ্ছেন এই বার্তা।


চারিদিকে হইহুল্লোড় নেইকো কোনো কান্না
পাকশালাতে  নানান রকম হচ্ছে খাবার রান্না।


কোপ্তা, কাবাব, পোলাও আছে সঙ্গে মটন কারি
রাজভোগ আর চমচমটা আসছে হাঁড়ি হাঁড়ি।


বাতাস বয়ে আনছে নাকে ভাজা লুচির গন্ধ
কর্তা হঠাৎ চুপ করে যান, হারিয়ে ফেলেন ছন্দ।


আধঘন্টা লগ্ন বাকি বর আসবে কখন?
অমনি হঠাৎ হুলুধ্বনি  উঠলো বেজে তখন।


বর এসেছে পালকি চড়ে, পাঞ্জাবি আর ধুতি পরে
মেয়ের বাবা এগিয়ে গেল, সবাই তখন স্বস্তি পেল।


ছ'জন করে গোল টেবিলে অতিথিরা খাচ্ছে
পরিবেশক বারে বারে খাবার দিয়ে যাচ্ছে।


চানামটর আর একটু দিই? ফিশ ফ্রাই  আর নেবেন?
অপর্যাপ্ত খাবার আছে তৃপ্তি করে খাবেন।


খাবার ঘরে ঢুকতে সবাই করছে হুড়োহুড়ি
খাওয়া হলেই আসছি বলে যাচ্ছে সোজা বাড়ি।


বাইরে হঠাৎ পড়ল চোখে কাঙালিদের দল
কর্তা বলেন, ওরে, "ওদের ভেতরে আসতে বল"।


আয়োজনে নেই ঘাটতি আহার পেল সবে
তারাই (কাঙালিরা) শুধু আশীষ দিল "তোমরা (বর- কনে) সুখে রবে"।।