মেশিনে তৈরি আমি কাগজের খোল
লম্বা নলের মত দেহ মোর গোল।
কেউবা বানায় নিয়ে কাগজটা হাতে
রোল করে মুড়ে দেয় জিভ দিয়ে তাতে।
মসলাতে ঠাসা আমি মাথা খোলা থাকে
দশটা, বিশটা করে প্যাকেটেতে রাখে।
পেছনের দিকে থাকে ফিল্টার সাদা
নিকোটিন গিয়ে সেথা পেয়ে যায় বাধা।
ছোট হলে মিনি আমি, বড় হলে কিং
স্মোকারের ঠোঁটে জ্বলি রাত কিবা দিন।
কেউ ভাবে অচ্ছুৎ, কেউবা আপন
নাবালক দেয় টান করিয়া গোপন।
কবিতা লিখতে লিখতে কবি দেয় টান
তিন - চার টান দিয়ে কেউ ধরে গান।
টেনশনে টানে কেউ আনমনা হয়ে
টানতে টানতে আমি ক্রমে যাই ক্ষয়ে।
আধপেটা করে কেউ গঞ্জিকা ভরে
মাঝে মাঝে খোঁচা দেয় কাঠি দিয়ে জোরে।
মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে কুলকুল করে
দুই আঙুলের ফাঁকে সর্বদা ধরে।
অভিমান নেই মোর সদা জ্বলে যাই
আঙুলের টোকা দিয়ে ফেলে দেয় ছাই।
শেষ টান দিয়ে কেউ পায়ে দেয় দলে
জ্বলন্ত দেহ খানি কেউ যায় ফেলে।
আমার নেশায় জানে যেতে পারে প্রাণ
প্রাণ যায় যাক তবু দেয় সুখটান।
কেউবা ডান হাতে কেউ ধরে বামে
সকলেই ডাকে মোরে সিগারেট নামে।।