আর যেখানে যেও না রে ভাই পদ্মদীঘি পার,
মনোরোগী ওই বুড়োর কাছে যেও না খবরদার!
ছদ্মবেশী বৃদ্ধ সে ভাই পড়োনা তার ফাঁদে-
দেশপ্রেমের সুড়সুড়ি দেয় ধর্ম দিয়ে বাঁধে।
কোন বেশে রয়, কেউ জানে না গিরগিটি কোন জাত,
সুযোগ পেলেই জোর করে ভাই শোনাই মন-কি বাত।
নিজেও যেমন গল্প তেমন সমান ছদ্মবেশী।
বাক্য জুড়ে দেশের চাইতে দ্বেষের আওয়াজ বেশি।
না আছে তায় প্রেমের ছিটে না আছে ঋত মানে,
তবুও তোমায় শুনতে হবে স্পিকার গুঁজে কানে।
কেবল যদি ভাষণ’ই দেয় তাও নেওয়া যায় সয়ে,
কানের গোড়ায় বাজনা বাজায় থালা ও বাটি দিয়ে।
কেবল বলে, “হো হো হো, ফাটাকেষ্টর দিদি
চপ বেচে আর চিত্র এঁকে টিকিয়ে রাখে গদি।
চিত্রগুলো আজব রকম জটিল অর্থ হারা,
চপগুলো সব পাতলা রোগা মশলা পাঁপড় পারা।
অষ্টপ্রহর করত দিদি ভীষন চেঁচামেচি
ইং টিং ছট্ লটর পটর কা কা ছিঃ ছিঃ।”
এই না বলে ফটাত্ করে ধর্ম ছুঁড়ে মারে
জাতের নামে দেশপ্রেমের সুড়সুড়ি দেয় ঘাড়ে।


সারাটা দিন প্রলাপ বকে সন্ধ্যে হলে শেষে,
আজব রকম দেশপ্রেমের প্রমান চেয়ে বসে।
কেমন তোমার দেশ প্রীতি বিধর্ম বনাম--
তোমায় ভায়া বলতেই হবে “জয় জয় শ্রী রাম”।
তখন যদি খটকা লাগে প্রশ্ন করো ভুলে,
দেশদ্রোহীতার লেবেল খানি সাঁটিয়ে দেবে গালে।


(কবি সুকুমার রায়ের “কাতুকুতু বুড়ো” কবিতার অনুপ্রেরণায়)