একদম একাবোকা, নিঃসঙ্গ না হলে কুকুরের তাৎপর্য বোঝা যাবে না,যেমন
প্রাচীন যৌথ পরিবার, যেখানে শ্যাওলা ধরা পাঁচিলের ইঁট বিষাদে আচ্ছন্ন, এবং
গরু বেচে দিয়ে যারা রেডিও কিনেছিল, বোঝেনি।
শিকার-টিকার বা বাড়ি পাহারা, প্রাকৃতিক চালচিত্রে হালকা আঁচড় রবীন্দ্রনাথ
দিয়েছেন অবশ্য, কিন্তু ক্ষুধিত আত্মায় সান্ত্বনা পেতে তিনি অলক্ষ্যে কোনো
কুকুরের কাছে যান নি।
বিলেতি ঠান্ডায় একাবোধ কষ্টকর, তাই বায়রন অত আগে বুঝেছিল, আর
যুধিষ্ঠির অনেক আগে, ওই স্বর্গীয় নিঃসঙ্গতা, মানুষজনের ফালতু অসারতায় ওর
দম আটকে এসেছিল, তবে ওর লেবেল মারার দরকার কি ছিল? আমরা এখন
নিরন্তর কুরুক্ষেত্রের দৈনিক অন্তে সবই বুঝি।
গরু ঘোড়া বা সিংহশিশু কোলেপিঠে বড় হয়, রাশভারী বিড়াল তোমাকে
চুলচেরা ওজন করে, কিন্তু এই নির্জন কাতর যুগে মানুষের পচা সাহিত্য সিনেমায়
কুকুর গোপন প্রীতি ও দুঃখের সাক্ষী ও সহায়।
জ্যোৎস্নারাতে ভগবানের আদর, নিজস্ব জবানবন্দি শোনা, অনেক কাজ আছে
কুকুরের, চাওয়া ও না-পাওয়ার মধ্যে যে ছায়া পড়ে, সেখানে জ্বলে তার চোখ।
মানুষ অসহায়, সাহচর্যের জন্য দেশলাই খোজেঁ, আর ঠিক শ্রেষ্ঠ অনিশ্চয়ের মত
কুকুরটা চলে যায় কোথায়, আর আসে না।
ভুল কি হলো, ঠিক বোঝা যায় না।