বোঝার মত বুঝিয়েছো কী - মারতে আসো থেকে থেকে ,
কোনটা সঠিক, কোনটা যে ভুল জানব কি মা জন্মে থেকে ।
বাগদিদের ওই ডোবা পুকুর, রোজ ওরা খেলা করে,
একবারও কি বলেছিলে, পাঁক ঘাটলে পোকা ধরে।
ইটভাটার ওই ছেলেগুলো, রোজ দেখেছি ঝগড়া করে,
চুলগুলো জট, কালি মুখে, বালি - ধুলো ছুড়ে মারে।
গায়েতে ওদের ময়লা জামা, প্যান্ট গুলো সব গেছে ছিড়ে,
কখনো কি বলেছ মা, চুলে তে জট পরবে আমার ওদের মত খেললে পরে।
ধুলো বালি - সব ছেড়েছি, খেলতে গেছি মাঞ্জা নিয়ে,
ঘুড়ি ওড়াবো, প্যাঁচ খেলবো, পল্টুদের ওই ছাদে গিয়ে।
মাঞ্জায় আমার হাত কেটেছে, তুমি তো খুব রেগে গেলে,
মাঞ্জাতে যে কাঁচ আছে, একবারও কি বলেছিলে ?
ঠিক আছে মা, খেলবো না আর - মাঞ্জা, ঘুড়ি, লাটাই নিয়ে,
চু - কিত - কিত খেলবো আমি সোমাদের ওই দলে গিয়ে।
সোমা, বিশাখা, জয়স্রী, দোলন একদলে, আর আমি একা।  
ওরা রোজ আমায় চোর খাটাবে, দাগ কাটাবে, আর আমিও বোকা,
খেটে মরি, ছুটে মরি, - মেয়ে গুলো কি হিংসুটে মা,
আমার উমেশ নামকে ভেংচে আমায়,  ডাকে ওরা উমা - উমা।
খেলবো না মা ওদের দলে, আমায় একটা সাইকেল দেবে ?
খোকনদার দোকানে দর করেছি, বলেছে , সেকেন্ড -হ্যান্ড হলে হাজার নেবে।
দাওনা মা একটা সাইকেল কিনে, কানু চড়ে, মোহন চড়ে,
ইসমাইলও রোজ বিকালে দোকান যায় ওই সাইকেল চড়ে।  
ও মা, তোমার কয়লা আর গুলের ব্যাগ বয়ে দেব, মাছ আনবো, ডিম আনবো,
আর ভালো শিখলে তোমাকে নিয়ে বাসে তুলে দিয়ে আসব।
পা ভাঙলো, মাথায় চোট, পরে গেছি সাইকেল নিয়ে।
ও মা তুমি কাঁদছো কেন, দেখো, শুধু বেঁধে রেখেছে ব্যাণ্ডেজ দিয়ে।
মা, তুমি যদি একবার বলতে - যাসনে ওই বড়ো রাস্তায় আমায় ফেলে,
তোমার কথা শুনবো না মা, আমি কি মা তেমন ছেলে ?
বুঝিনা মা তোমার কথা, তোমার বকা - তোমার আদর।
তোমার বেলুন-চাকি আর ঝাঁটার বাড়ি - আজও আছে মনের ভিতর।