শীর্ণ কায় অতিকায় দাড়ি,
সামলানো দায় দাড়ি এত ভারী।
শরীরের বল খুবই দুর্বল,
অবশেষে দাড়ি কার হাতে ছাড়ি।
যৌবন থেকে সঞ্চিত দাড়ি,
দাড়ি ছেড়ে আমি কিকরে মরি।
সাদা কালো রঙে মানিয়েছে ভারী
লোকে ভাবে একি আসল দাড়ি ?
চিরজীবনের এত আসা ভরি
বানিয়েছি যা, কি করে তা ছাড়ি।
নাতবৌ বলে, দাদু তাড়াতাড়ি,
ভাগ করে দাও তোমার ঐ দাড়ি।
নাতনিও শেষে পিছে পিছে ঘোরে
টেনে টেনে দেখে ঝড়ে নাকি দাড়ি।
দাড়ির ভারে শিরদাঁড়া যায়,
তবু দাড়ি ছেড়ে বাঁচতে না পারি।
ছেলেদের কথা বলবো কি আর,
ছোট ছেলেটার বড় বাড়াবাড়ি।
রোজ রাতে আসে ঘরে চুপিচুপি,
ঘুমালে আমি টেনে দেখে দাড়ি।
একদিন উঠে যেই চেপে ধরি,
বলে, সাবধান, দেখি পরীক্ষা করি।
বড়ো ছেলেটার সবকটা দাড়ি,
অযত্নে গেলো অকালে ঝরি।
হুস নেই তার, দাড়ি বানাবার,
চিন্তায় তার আমি ভেবে মরি।
ভাবি আমি মনে, আমার এই যত্নের দাড়ি
আমি চলে গেলে হবে কারাকারি।
তাই বিষণ্ণ মনে, অতি গোপনে,
পুড়িয়ে ফেলেছি যতো ছিল দাড়ি।