নিরলস প্রচেষ্টায় হয়তো
দু-চার পংক্তি কবিতা,
বড়জোড় মনের বিশেষ রসের কথা-
লিখেও ফেলতে পারি।
হয়তো...
ফরমায়েশ মত তোমার বন্ধুর জন্মদিনে
প্রেম জাগানিয়া কিছু কথা
কিছু শুভকামনা বন্দি করে দিতে পারি
তোমার মুঠোফোনের ডাক বাক্সে।


কবিতা!
হয়তো ক্ষনিকের ভাললাগা,
সৃষ্টি করতে পারে কিছু ভাবেরও,
তবুও, কবিতার কি সাধ্যি আছে
আষ্টে-পৃষ্ঠে লেপ্টে থাকে
তোমার উষ্ণ শরীরে?
দিনের শেষে যখন তুমি... ক্লান্ত, অবসন্ন;
সেখানে কবিতার প্রবেশ নিষেধ।
তুমি তখন ব্যস্ত...


হয়তো বন্ধুটির বুকে মাথা রেখে
পরম সুখে দিব্যি আউড়ে যাচ্ছো...
তোমায় নিয়ে লেখা আমার ৫১টি কবিতা।
তখনও...
আমি যোজন যোজন দূরে বসে
ঘুমহীন চোখে তোমাকে দেখি।
আমার নাসারন্দ্রে তখনও
তোমার শরীরের ঘ্রাণ অনুভুত হয়।
নারী! তুমি এমন কেন?
মিথ্যে; ছলনার অনুকুলে-
কেন শুধু তোমারই ছবি?
কেন এমন হয়?


একবিংশ শতাব্দিতে এখনও আমি
সামন্তবাদী ধ্যান-ধারণার বাহক মাত্র।
যা আমার, তা শুধু আমারই-
অহংকারে বাতাসে ভেসে বেড়াই,
তুমি শুধু আমার, অন্য কারো নও।
আমি ভূলে যাই...
সময় বদলেছে, বদলেছো তুমিও।
প্রতিদিন একই রুটিন?
পাগল!
জীবনে ব্যতিক্রম এখন সময়ের দাবী।
কিন্তু আমি বদলাইনি এতটুকুন,
বদলায়নি তোমাকে নিয়ে লেখা
আমার কবিতার পংক্তি গুলোও।
হয়তো অনন্তকাল আমার কবিতা
তোমাকে ঘিরেই আবর্তিত হবে,
সাথে আমিও।


তোমার চোখে খুজে পেতে চাই-
আমারই প্রতিচ্ছবি।
অনেক খুজে পেতে... সেখানে দেখেছি
সুঠাম দেহের কোন অঢেল সম্পদের মালিককে।
সে কবি নয়;
কিন্তু-
কবিতা কেনার সামর্থ তার আছে।
স্বপ্ন দেখার লোভ তবুও সংবরণ করতে পারিনি।
বার বার; হাজার বার
তোমার সামনে দাড়িয়েছি।
তুমি-আমায় নিরাশ করনি,
আবার-
আমাতে বিলীনও হওনি-
আমি বুঝতে পারিনা... কিসে তুমি তৃপ্ত,
বলবে...
“এইতো সব পেয়েছি”।
তবুও আমি... আমার কবিতা
চিরকাল শুধু তোমাতেই হারাবে।