বাঁশিটা তোলাই আছে, অনেকটা অযতনে, কোন একদিন
নলখাগড়ার বন ছুঁয়ে উঠে আসা সমীরণ, মোহন সুরে
মাতিয়ে যেত তোমার বুনো চুল... অস্ফুট আবেগ...
বাঁশির সুর ভেসে যেত বহুদূর... আরো দূরে, তোমার বুকে
মাল্লাহীন তরীর মতো সে সুর উড়িয়ে দিতাম, দিঘল রাতে
বেঁকে আসা তোমার মসৃণ শরীর, ওষ্ঠাধরে, কামিনীর ঘ্রাণ
ছড়িয়ে দিয়ে সে সুর ভেসে থাকতো তৃপ্তীতে
সেই সে বাঁশিটা, পড়ে আছে অযতনে, শুধু সে সুর...
বন্দী হয়েছে ইন্টারস্টেলার স্পেসে, না ফেরার আর্জিতে
কত সহজেই বাঁশি থেকে সুর, জীবন থেকে গতি
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, অথচ তুমি আমি পাশাপাশি, স্পর্শ দূরত্বে
সুর নেই সেখানে ব্রাকেট বন্দী দীর্ঘশ্বাসের রাজত্ব শুধু
নিশ্চুপ শূন্যতায়ও ভেসে যায় ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ওয়েভ
অথচ তুমি, আমি আর সুরের ট্রায়াঙ্গলে- প্রতিটি বাহু
এক্সট্রিম জেরো, আবেগও মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে,
হিমেল কুয়াশা গ্রাস করে নেয় জীবন, বেঁচে থাকার আস্বাদ
শুধু আমি সাইক্লোস্টাইলে ভালবাসা ছেপে ছেপে
এখনো বেঁচে আছি বাঁশি আর সুরের মাঝামাঝি, অসীম শূন্যতায়...