সেদিন ছিল তপ্ত দুপুর, তুমি নীল পাঞ্জাবি গায়ে হেটে হেটে আমার সামনে এসে দাঁড়ালে !
মুহূর্তেই আমার পৃথিবী থমকে গিয়েছিল!
প্রতিটি শিরা-উপশিরায় কেবল প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল একটিই কথা - এ যে আমার কবি, আমার কৈশোরের প্রথম ভালোলাগা !


একটু একটু সঙ্কোচ আর একটু একটু জড়তা নিয়ে আমি গুটি গুটি পায়ে হাঁটলাম কিছু পথ তোমার পাশাপাশি ...
তপ্ত বাতাস মনে শিহরণ জাগাচ্ছিল ক্ষণে ক্ষণে...
তুমি ঘামে ভেজা পাঞ্জাবিতে হাঁটছিলে বেশ...
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম তোমাকে।
তোমার উজ্জ্বল চোখ, তোমার নিরীহ হাসি !
ইচ্ছে করছিল, এভাবে যুগ যুগ তোমার পাশে হেঁটে হেঁটে কাটিয়ে দিতে!


বরাবরের মতোই আমি অনর্গল বক বক করে যাচ্ছিলাম আর তুমি স্বভাবসুলভ মনযোগী শ্রোতা হয়ে শুনছিলে।
আমার না ভীষণ আফসোস হচ্ছিল জানো ?
মনে হচ্ছিল, ইশ! কেন আমি আজ শাড়ি পড়ে এলাম না?
বেশ হতো বলো!
আমাদের কৈশোরের অনুভুতি আর সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত দেহাবয়ব কেমন মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত !
তারপর হুডখোলা রিকশায় বসে আমাদের বহুল আকাঙ্খিত সেই মুহূর্ত - একসাথে আকাশ দেখা !
প্রিয়, কতই না সাধারণ ছিলাম আমরা আর আমাদের ইচ্ছেগুলো !