স্বপ্নের ঘোর তখনো কাটেনি,
ভোরের আলোয় হোঁচট খেলাম।
দিনের বর্ণ ধুইয়ে দেয় স্বপ্নের স্পন্দন
পারলেমনা আটকাতে।
জীবন্ত চোখ উপলব্ধ করায় আমার অক্ষমতাকে।
প্রতিনিয়ত অক্ষমতার প্রভুত্ব আমার মাঝে।
অভিমানে ঠোঁটে স্মিত হাসি আকঁতে পারিনা, বরং চোখে ফুটে ওঠে নোনা জলের স্বাদ।
অসাধারণের ভীড়ে আমি সাধারণের গন্ডীতে আড়ষ্ট,  আমার দৈন্যতা বড় স্পষ্ট হয়ে ভাসে।
প্রত্যাশাগুলো রিক্ত হাতে, নগ্ন পায়ে একাকী হেঁটে চলে, প্রাপ্তি ওদের আঙুল ছোঁয় না।
বিষাদগুলোকে স্মৃতির বোতলে ছিপি বদ্ধ করে রাখি, অবহেলার স্তোপে ফেলতে পারিনা।
স্মৃতির বৃষ্টি যখন তখন আমায় ভেজায়।
চরম ভুলগুলোকেও ভোলাতে গিয়ে, রোজ ওদের হাত ধরে ফিরে আসি।
ভুলের নাম করে আমি পরজীবী পুষে রাখি।
জীবন্ত শরীরে মৃত হৃদপিণ্ড পুষে রাখি।
কিছুতেই ভোলাতে পারিনে।
ভোলার প্রচেষ্টায়ও আমি মুঠো ভরে তুলি অক্ষমতা।