মেঘের দেশেও সাগর আছে
মাঝে মাঝে তাতে ঢেউও ওঠে,
আবার মন খারাপও হয়,
যখন মেঘলা হাওয়া বয়।
আজ সকাল থেকেই বইছে হাওয়া,
চলছে খুশির নৌকো বাওয়া।


মেঘলা মেয়ে নীল সাগরের মাঝে
ভেলায় চড়ে ঘুরছিল।
হঠাৎ একটা কালো মেঘ এসে
তাকে ভিজিয়ে দিল।
পরনের শাড়ী, মাথার চুল,
ভিজিয়ে দিল সারা দেহ।


ফিরে গেল মেঘলা মেয়ে নিজের ঘরে,
ভেজা কাপড় ছেড়ে এলো চুলে
দাঁড়ালো খোলা জানলার ধারে।
তখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে,
সখিদের কথা খুব মনে পড়ছে।
তারা কি ফিরে গেছে আপন ঘরে !


মেঘলা মেয়ে জানে শিঘ্রই তার বিয়ে,
চলে যাবে নতুন কোনো দেশে।
কি সুন্দর কনের বেশে !!
সখিদের ছেড়ে যেতে মন চায়না,
তবুও ছেড়ে যেতে হবে,
প্রকৃতির এই নিয়ম মেনে।


মেঘলা মেয়ে ভাবছে বসে,
যাবে যখন কনের সাজে
মেঘের কোনো ভেলায় ভেসে !!
ছেড়ে যেতে হবে আকাশ মা কে !!
তার মন খারাপ করবে খুব।


কি করে থাকবে সেথায়
মেঘলা মেয়ে একলা ঘরে ??
মেঘের হাতে লিখবে চিঠি,
মেঘলা মেয়ে মায়ের কাছে।
মা পাঠাবে রান্না করে,
আদুরে তার মেয়ের তরে।


আনন্দ করে খাবে তখন
মায়ের হাতের রান্না।
খেতে বসে হয়তো আসবে
মন খারাপের কান্না।
তবুও তো পড়বে মনে মায়ের কথা,
দুর হবে সব মনের ব্যথা।