শ্যামলী এই নামে সবাই ডাকে তোমায়,
তবে দেখিনি কখনো এই শ্যামলিনী রূপ।
ইচ্ছা করে আরও অনেক নামে ডাকতে,
তাই কখনো কৃষ্ণকলি বলেও ডাকি....
শুধুই ভালোবাসার টানে।


এঁকেছি অনেক ছবি কল্পনার ক্যানভাসে,
আর হৃদয়ের চোখ দিয়ে দেখি সেই ছবি।
মেঘবরন কুঞ্চিত কেশ, যেন ভূমিতে লুটায়।
কাজল কালো দুটি আঁখির মাঝে বিশ্বের বিষ্ময়, তাই কখনো উজ্জয়িনী নামেও ডাকি।


গোলাপের পাঁপড়ীর মতো ঠোঁটের হাসিতে
যেন আদিমতার ছোঁয়া, ইচ্ছে করে সেই
ছোঁয়ায় নিজেকে সমর্পণ করি।
আর কিছুটা সময় অতিবাহিত করি।
তাই কখনো অবন্তিকা নামেও ডাকি।


ওই শ্যামলী নামের মাঝে লুকিয়ে আছে
তোমার রূপের মহিমা। কোনো অলস বিকেলে
বারান্দার রেলিংএ পা তুলে ভাবি সেই সব ছবি,
ঠিক তখনই মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে তোমার বৈকালিক সাজের ছবি।


বড় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছড়িয়ে দিয়েছো
তোমার এলোমেলো চুল, তারপর একে একে
সব অলঙ্কারে ভূষিত করলে নিজেকে।
অলঙ্কারের টুং টাং শব্দের মূর্ছনায় সৃষ্টি হয়
এক মোহময়ী সুর।


হয়তো এভাবে কখনো ভাবিনি তোমাকে নিয়ে,
আজ লিখতে বসেছি তোমায় নিয়ে, কল্পনার
রঙ তুলি দিয়ে হৃদয়ের ক্যানভাসে এঁকে রাখা
ছবিটা আজ কলমের ছোঁয়ায় পাবে,
আর ভেসে যাবে মুক্তির আনন্দে।