দেখিতেছি এক রুগ্‌ণ ছেলেকে
দিব্যি টানছে পায়ের রিকশা,
থাকা সত্বেও তার কোমরে বার মাইসা ব্যাথা।
সইতে না পারি নীরস মেহনত
নয়ন ফেটে পরছে তার খাটি নোনার উদক।
বলতে না চেয়েও বলল-
আপনকে আমি বোঝাই যদি না পারি সইতে আমি
স্বপ্ন যে হবে না পূরণ।
আমার করতে হলে স্বপ্ন সম্পূর্ণ
লরতে হবে বজ্রদৃঢ় অভিপ্রায়। হেতু,
আমার স্বপ্নে পক্ষপাত আমার স্বপরিবার
না যদি পারি তা, হবে কি দশা তার?
তা ভাবিয়া হ্নদয় আমার তর্জন করে ওঠে।
সেহেতু,
করতে সম্পূর্ন তাই করবো আমি যা মন চাই।
আজ করছি কাল করব করব শতবছর,
মানবো না আমি হার
রবে যতক্ষন এই তনুতে প্রাণ।
যতই আসুক বাঁধা বিপত্তি, ঝঞ্ঝা ঝাটিকা, দৃঢ় দৈন্য পরিস্থিতি।
আমি হবো না মাথা নত
আসুক যত বাদানুবাদ, অভীক দুশানন,
আসুক যত হ্রী, ওফাত, লালসা দুশমন।
আমি ভয় পাইনা বাদনুবাদ,
ভয় পাইনা নির্দয়,
আমি ভয় পাইনা দুশমন
আমি ভয় পাইনা দীন,
ভয় পাইনা দুর্নাম,
ভয় পাইনা যোধন আমি,
ভয় পাইনা ধরনীর এই দুর্বোধ্য বিধিকে।
কারন আমি সদিচ্ছা, করিনি কোন দুষ্ক্রিয়া,
করবোই জয় একদিন এই বসুন্ধরা।
আমি উচ্ছেদ করবো না মোর জীবন,
হবে না যতক্ষন এই বাসনা মোর পূরণ।
বিস্ময়ে বলি-
আমি মুগ্ধ তেমার এই বজ্রকন্ঠে
তাই জানতে ইচ্ছে করে স্বপ্নটা তোমার কি?
নয়নের উদক মুছতে মুছতে রুগ্‌ণ হাসলো মুচকি,
বল্লনা কিছু আর,
মাথার ঘাম পরছে পায়ে
ক্লান্তি নাই যেন তার।
শোনতে তো ইচ্ছে হয় আরো,
নামতে মন চায়না তার
রিকশা থেকে আর,
চলে যেতে চায় তারি সাথে আজ
স্বপ্নের দোনিয়ায়।