একদিন এক মরণ এসে
বালক বেশে
হাত বাড়ালো;
দাঁত ধারালো,
নখ ধারালো,
ধারালো তার কথার ধরণ;
বলল : কবি, এবার তোমার মৃত্যুবরণ!


আমি বলি : হায় নাবালক!
-ভয় দেখানোর লোক পেলে না?
যার ইশারায় আবিশ্বময় হাসনুহানা;
যার ইশারায়
দহন খরায়
বাদলধারা
আত্মহারা পড়ছে ঝরে টাপুর টুপুর;
ছোট্ট খুকুর পায়ের নূপুর বাজছে তালে,
তার কপালে ভয় লেখা নেই;
হায় নাবালক!


বিশ্ব যারে করলো চালক
বিনয় ভরে,
যার ওপরে স্রষ্টা স্বয়ং ভরসা রাখেন;
প্রোৎসাহে যার ললাটরেখায়
তিলক আঁকেন
সর্বজয়া,
তাকেই তুমি ভয় দেখালে!
হায় নাবালক!
হায় অপয়া;


চিরন্তনী কবির চোখে
পুত্রশোকে
হাসির নাচন,
বিশ্ব শাসন করছে কবির অমোঘ বাণী;
জগত জুড়ে যার বিছানো হৃদয়খানি,
তাকেই তুমি ভয় দেখালে!


হায় নাবালক!