ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে আসছিলো আমার ...
প্রথমেই মনে হলো-
সংরক্ষিত পাপড়িতে আঙুলের খেলা;
উন্নত প্রদেশ জুড়ে কর্দমাক্ত হাত।


জ্ঞান ফিরে এলে কিছু শারিরীক অভিব্যক্তি ঘটে
এবং ফলত আমি তাকাতেই অন্য দৃশ্য দেখি-
আমার সেবকগন শশব্যস্ত, চিন্তাগ্রস্ত বটে!
কেউ মুখে জল ঢালে, কেউ করে রুমালের হাওয়া;
সেবা ও শুশ্রুষা চলে গন্তব্য অবধি।


আমার ব্যাগের সব গোপন পকেটে থাকে নানা
দুর্যোগের আয়োজন, অতিরিক্ত টাকাপয়সা, কিছু
জরুরি নম্বর, থাকে বাড়ির ঠিকানা,ছোটো চিঠি।
ভীড়ে ঠাসা ট্রেনে চেপে প্রায়শই যাতায়াত করি,
চাকরি পেতেই হবে, 'সাফল্যের শেষ কথা' লেখা
একটি সংস্থায় প্রস্তুতির লক্ষ্যে যাওয়া-আসা।


সেদিন সকাল থেকে জ্বর-জ্বর মনে হয়েছিলো;
মায়ের নিষেধ ভেঙ্গে যেতে যেতে ট্রেনের কামরায়
চোখে অন্ধকার দেখি, মাথা ঘুরে শুয়ে পড়ি নীচে।
অতপর সহযাত্রী কেউ কেউ দ্রুত কাছে এসে
চিন্তামগ্ন খুঁজে দেখে আমার ব্যাগের ইতিউতি
এবং আমাকে তারা যথারীতি নিয়ে আসে নিজস্ব খরচে।


ব্যাগে রাখা টাকাকড়ি একটুও কমেনি, সবকিছু
যথাযথ আছে জেনে মা বলেন -ঈশ্বর আছেন ...


আমার অন্তরে তবু অযাচিত আঙুলের খেলা,
উন্নত প্রদেশ জুড়ে কর্দমাক্ত হাত।