কিছুই লিখিনা আমি জগতের মহাযজ্ঞ হতে
নিজেকে আড়াল করি।সুদৃৃশ্য ঘনকে ঢুকে যাই।
আড়ালের নাম গৃহ, যাপনের নাম রাখি সুখ।
এ বিশিষ্ট সভ্যতার সমস্ত সৌধে আছে মাননীয়া মৃত্তিকার বিদগ্ধ শরীর;
সমস্ত সৌধে তার সন্তানের কঙ্কালসমূহ।
মহার্ঘ আড়াল ভেঙে মৃত্তিকার কাছে ছুটে যাই।
প্রবৃদ্ধ বৃক্ষের নিচে বসে দেখি দিগন্তের আলো।
উড়ান বাতিল করে মাটির সোহাগ পেতে নেমে আসে আনন্দিত দেয়া।
মাটির গভীর হতে নীরবে উত্থিত হয় সুগন্ধ-শুশ্রূষা।
এ নিবিষ্ট আলোড়ন, এ মুগ্ধতা করেছে বাউল।
কিছুই লিখিনা আমি; বঙ্গদেশে সবকিছু লেখা হয়ে আছে।